চালের রফতানি বাজারে ঢুকছে ইন্দোনেশিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও বাড়তি অভ্যন্তরীণ চাহিদার জের ধরে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল আমদানি করে ইন্দোনেশিয়া। তবে চলতি বছর চিত্র বদলে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চাল আমদানিকারক দেশটি রফতানিকারকের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। বছর শেষে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টন চাল রফতানি করতে পারে দেশটি। ইন্দোনেশিয়া সরকার মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) প্রতিবেদন সূত্রে তথ্য জানা গেছে। খবর রয়টার্স বিজনেস রেকর্ডার।

ইউএসডিএর গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশ। এর পরও দেশটি বৈশ্বিক চাল রফতানিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না। উল্টো প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানি করতে হয় দেশটিকে। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ চাল আমদানিকারক দেশ। মূলত ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা দেশটিকে চালের বাজারে আমদানিকারক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

তবে ২০২০ সালে চিত্র বদলে ফেলতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া। চাল রফতানিকারকদের তালিকায় শক্ত অবস্থানে যেতে চায় দেশটি। ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী সায়হেরুল ইয়াসিন লিম্পো সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, চলতি বছর প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়া থেকে এক-পাঁচ লাখ টন চাল রফতানি করা হতে পারে। পরবর্তী সময়ে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আরো বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোন কোন দেশে চাল রফতানি করবে কিংবা খাদ্যপণ্যটির রফতানি মূল্য কত রাখা হবে, সেসব বিষয়ে কিছুই জানায়নি ইন্দোনেশিয়া সরকার।

এদিকে ইউএসডিএ জানিয়েছে, বিদায়ী বছরেও চাল রফতানি করেছে ইন্দোনেশিয়া। তবে পরিমাণ ছিল কম। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়া থেকে সাকল্যে ২০২ টন চাল রফতানি হয়েছে। সময় রফতানি হওয়া চালের অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে তারা। তবে গত বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে রফতানি হওয়া এসব চাল ছিল প্রিমিয়াম কোয়ালিটির।

ইউএসডিএ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে ইন্দোনেশিয়ার চাল উৎপাদনে মন্দা বজায় রয়েছে। ২০১৭ সালে দেশটিতে কোটি ৭০ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছিল। পরের বছর খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন দশমিক ৮১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় কোটি ৬৭ লাখ টনে। আর সর্বশেষ ২০১৯ সালে দেশটিতে কোটি ৬৫ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৫৪ শতাংশ কম।

অন্যদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইন্দোনেশিয়ায় চাল আমদানিতে মিশ্রভাব দেখা গেছে। ২০১৭ সালে দেশটি ২৩ লাখ টন চাল আমদানি করেছিল বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ। পরের বছর তা ৮২ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় চার লাখ টনে। তবে ২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়া সব মিলিয়ে ১৪ লাখ টন চাল আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ লাখ টন বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন