দ্রুত সম্প্রসারণের
ধারাবাহিকতায় দেশের
তথ্য ও
প্রযুক্তি খাতের
রফতানি আয়
খুব অল্প
সময়ের মধ্যেই
পোষাক খাতকে
ছাড়িয়ে যাবে
বলে আশা
প্রকাশ করেছেন
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য
ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা
সজীব ওয়াজেদ
জয়।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন
কেন্দ্রে (বিআইসিসি)
গতকাল তিন
দিনব্যাপী ডিজিটাল
বাংলাদেশ মেলার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির
বক্তব্যে এ
আশাবাদ ব্যক্ত
করেন তিনি।
‘বঙ্গবন্ধুর
সোনার বাংলার
প্রযুক্তির মহাসড়ক’
প্রতিপাদ্য সামনে
রেখে গতকালই
প্রথমবারের মতো
যাত্রা করল
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ
মেলা’। ডাক
ও টেলিযোগাযোগ
বিভাগ এ
মেলার আয়োজক।
ডাক ও
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা
জব্বারের সভাপতিত্বে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য
ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা
ছাড়াও
বক্তব্য রাখেন
ডাক, টেলিযোগাযোগ
ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক
সংসদীয় স্থায়ী
কমিটির চেয়ারম্যান
একেএম রহমত
উল্লাহ, হুয়াওয়ে
টেকনোলজিস (বাংলাদেশ)
লিমিটেডের সিইও
ঝাং ঝেংজুন,
ডাক ও
টেলিযোগাযোগ সচিব
নূর-উর রহমান
প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সজীব
ওয়াজেদ জয়
বলেন, অফিশিয়াল
রেকর্ড অনুযায়ী
আইটি খাতে
বাংলাদেশের রফতানি
১০০ কোটি
ডলার ছাড়িয়েছে। আমি
বিশ্বাস করি,
খুব অল্প
সময়ের মধ্যে
আমাদের প্রযুক্তি
খাতের রফতানি
গার্মেন্ট খাতকে
অতিক্রম করবে। অধিকাংশ
আইটিসেবা ইন্টারনেটভিত্তিক। ইন্টারনেটের
মাধ্যমেই এ
খাতে রফতানি
হচ্ছে।
তাই প্রকৃতপক্ষে
কী পরিমাণ
রফতানি হচ্ছে,
তা জানা
সম্ভব নয়।
তিনি আরো
বলেন, আমাদের
বিশ্বাস, আইটি
খাত থেকে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে
আন-অফিশিয়ালি অন্তত
আরো ১০০
থেকে ২০০
কোটি ডলার
রফতানি হচ্ছে। কিন্তু
তা জানা
যাচ্ছে না। তাই
আমাদের আইটিসেবা
গার্মেন্ট শিল্পের
রফতানি আয়কে
ছাড়িয়ে যাওয়ার
পথেই এগোচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ডাক
ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
বলেন, ১৯৯৬
সালে শেখ
হাসিনা যখন
প্রথম সরকার
গঠন করেন,
তখন প্রচলিত
লাঙল-জোয়ালের একটি
দেশকে ডিজিটালরূপে
রূপান্তর করার
জন্য যেসব
বিপ্লবী কর্মসূচি
গ্রহণ করেছিলেন,
আমি আজ
তা শ্রদ্ধাভরে
স্মরণ করছি। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে যা
যা করা
দরকার, তার
সবটাই তিনি
করছেন।
নানা চড়াই-উতরাই
পাড়ি দিয়ে
দেশ এখন
ডিজিটাল বিপ্লবের
ক্ষেত্রে নেতৃত্ব
দেয়ার মতো
জায়গায় রয়েছে।
এবারের মেলার উদ্বোধনী পর্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকার জন্য ১৪টি বিভাগে সম্মাননা দেয়া হয়। মেলার তিনদিনে বিভিন্ন বিষয়ে সব মিলিয়ে ১৩টি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা ছাড়াও দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন। মেলায় পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তির (ফাইভজি) বিভিন্ন দিকসহ দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।