রেলওয়েতে সুশাসন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। রেলের অনিয়ম, দুর্নীতি, কালোবাজারে টিকিট কেনাবেচা বন্ধে এ সুশাসন দরকার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ হবে।
গতকাল জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী বৈঠকে রেলমন্ত্রীর পক্ষে প্রশ্নের জবাব দেন।
এ সময় নিজের গাড়িচালকের দেয়া তথ্যের কথা তুলে ধরে আবদুর রাজ্জাক বলেন, টিকিট কাটতে গেলে টিকিট পাওয়া যায় না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ট্রেনে সিট খালি থাকছে।
রেলওয়ের অব্যবহূত ভূমি খাস খতিয়ানে এনে তা ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দিতে বিএনপির হারুনুর রশীদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি একটি সুন্দর প্রস্তাব। আমি নিজেও বিষয়টি ভেবেছি। আমি এটা মন্ত্রিসভায় তুলব।
বিএনপির সংসদকে উদ্দেশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করলেন। এবারো নির্বাচনের পর সংসদে আসা নিয়ে অনেক কিছু দেখলাম। আপনারা সংসদে এসে এ ধরনের ভালো প্রস্তাব দিলে জাতিও উপকৃত হতো। আপনাদেরও জনপ্রিয়তা বাড়ত।
জামালপুরে মোজাফ্ফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে রেলওয়ের ভূমি ছিল ৬০ হাজার ৪০৫ দশমিক ৮৫ একর। বর্তমানে ভূমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৮২০ দশমিক ৩৫ একর। রেলওয়ের ৫৮ হাজার ৬৬০ দশমিক ৫৭ একর ভূমি দখলে রয়েছে। ভূমি লিজ দিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৫৯ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯০ টাকা আয় হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থা ও লিজ গ্রহণকারীর কাছে রেলের বকেয়া ১২৪ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৯৬ টাকা।
সংরক্ষিত আসনের গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৯ সালে রেলে ৪৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২১ জন নিহত ও ১৪১ জন আহত হয়েছেন।
সংরক্ষিত আসনের শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫৯ জন নিহত ও ৪৩৩ জন আহত হয়েছেন।
শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিতে রেলওয়ের ৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, তিনটি কারিগরি সহায়তা প্রকল্পসহ ৩৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত একটি বিশেষ রেল সার্ভিস দ্রুত চালু হবে।
