এক বছরের মধ্যে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধের নির্দেশ

উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের সব হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টে একবার ব্যবহার উপযোগী সব ধরনের প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন হাইকোর্ট। এক বছরের মধ্যে এসব পণ্যের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

আদেশে একবার ব্যবহার্য সব প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার, বহন, বিক্রি ও বাজারজাত বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারকে পলিথিন ও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে বিদ্যমান আইনি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করতে নিয়মিত বাজার তদারকি, উৎপাদন, যন্ত্রপাতি জব্দ ও কারখানা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জারি করা রুলে নিষিদ্ধ পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত হবে না এবং এসব পণ্যের নিরাপদ বিকল্প নিরূপণে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আট বিবাদীকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আগামী বছরের ৫ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা আকারে বিবাদীদের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি 

জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। একই বছরের ১০ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে।

আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের দেশে দিন দিন পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার দুঃখজনক হারে বাড়ছে। এর আগে এসব পণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও খুব কম মানুষই তা মানছে। এ প্লাস্টিক পণ্য শুধু আমাদের ভূমির উর্বরতাই কমাচ্ছে না, পরিবেশকেও মারাত্মক হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সামনে আমাদের জন্য দুর্দিন অপেক্ষা করছে। আদালতের আদেশটি সবার জন্যই ফলপ্রসূ হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) ১১টি সংগঠন পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ এবং ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্যের যথেচ্ছ ব্যবহার, উৎপাদন ও বিক্রির বৈধতা নিয়ে এ রিট দায়ের করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন