এক মাস ধরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে
হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সংস্কারকাজ চলছে। এতে এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ
থাকায় জট দেখা দিচ্ছে। যাত্রী ও পরিবহনকর্মীদের অভিযোগ, সংস্কারকাজের
ধীরগতির কারণে ভোগান্তি আরো বাড়ছে।
মাত্র ১০ কিলোমিটার পথ পেরোতেই সময়
লাগছে ২-৩ ঘণ্টা। সড়ক ও জনপথ
(সওজ)
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজ শেষ হতে আরো তিন-চার মাস সময়
লাগবে জানিয়ে বলছেন, সব নিয়ম মেনেই সংস্কারকাজ করা হচ্ছে।
সওজ সূত্র জানায়, ঢাকা
থেকে রাজশাহী বিভাগ ও খুলনা বিভাগের কিছু জেলায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে হয়
হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক হয়ে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খালকুলা বাজার থেকে ১০নং ব্রিজ
এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশের অবস্থা খুব খারাপ। এ অংশে
খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে মহাসড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঈদের সময়
বাড়তি যানবাহনের চাপে যানজট সৃষ্টি হয় এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আপাত
ব্যবস্থা হিসেবে ইট বিছিয়ে এ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়। ভোগান্তি নিরসনে
মাসখানেক আগে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের এ অংশটির সংস্কারকাজ শুরু করে সওজ। এ প্রকল্পের আওতায়
ইট তুলে বিটুমিন দিয়ে সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। সংস্কারকাজের জন্য
মহাসড়কের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পরিবহনকর্মী, যাত্রী
ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,
এক মাস ধরে কাজ চললেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি
হয়নি। এক পাশের সংস্কারকাজের পানি ও বর্জ্য গড়িয়ে পড়ছে আরেক পাশে। ফলে ১৫ মিনিটের
রাস্তা পার হতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগছে। এ কারণে নিয়মিত কয়েকশ যানবাহন আটকে
থাকে। তাছাড়া এ কাজ করতে দুই মাসের বেশি সময় লাগারও কথা নয়।
মামুন নামে এক ট্রাকচালক বলেন, আমাদের
প্রায় প্রতিদিনই এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রতিদিনই এখানে এসে সময় নষ্ট হয়।
বাসচালক মো. আলম
বলেন, এ রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে।
আমাকে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রতিদিন রাজশাহী যেতে হয়। এ রাস্তাটুকুর জন্য পুরো যাত্রা
মাটি হয়ে যায়।
মহাসড়কের এই অংশে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের
দায়িত্বে থাকা তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল
আলম বলেন, এ অংশে যানবাহন ধীরগতিতে চলে,
যার কারণে যানজট দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে রাতে
যানজট আরো বেড়ে যায়। আমরা জট এড়াতে সব চেষ্টাই করি। কিন্তু যানবাহনের চাপ অনেক
বেশি।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সওজের নির্বাহী
প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তার
কাজের জন্য একটু ভোগান্তি হচ্ছে। এই অংশে রাস্তা খুবই খারাপ। কাজ শেষ করতে আরো তিন-চার মাস লেগে
যাবে। কাজ শেষ হলে এ ভোগান্তি আর থাকবে না। এখানে ধীরগতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। সব
নিয়ম মেনেই কাজ চলছে।