রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কানাডীয় হাইকমিশনার

মিয়ানমারের ওপর সব ধরনের পন্থা ব্যবহার করছে অটোয়া

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তা করতে কূটনৈতিক প্রয়াস চালানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট নেতা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ নিজেদের এখতিয়ারাধীন সব ধরনের পন্থা ব্যবহার করছে কানাডা। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বেনোয়া প্রেফনটেইন রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন।

কসমস গ্রুপের জনহিতকর সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশনের অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের আওতায় বাংলাদেশ-কানাডা রিলেশনস: প্রোগনোসিস ফর পার্টনারশিপ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মো. শহীদুল হক। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা . ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।

কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া প্রেফনটেইন বলেন, উদ্বাস্তুদের সাহায্য স্বাগত জানানোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে কানাডার। দেশটির নাগরিকরা রোহিঙ্গা কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানানো এবং তাদের জন্য সীমান্ত খুলে রাখার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ সরকার যে অপরিসীম উদারতা দেখিয়েছে, কানাডা তা অনুধাবন করতে পেরেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যেকার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মো. শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশ-কানাডার সম্পর্ক সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বিশ্ব ব্যবস্থায় কানাডার কাছ থেকে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা আশা করছে বাংলাদেশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন