৩ বিভাগে পেট্রলপাম্প ধর্মঘট বিপাকে যানবাহন মালিকরা

বণিক বার্তা ডেস্ক

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংক-লরি ভাড়া বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে রংপুর, রাজশাহী খুলনা বিভাগের প্রায় দুই হাজার পেট্রলপাম্পে। সেসঙ্গে জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রেখেছে ট্যাংক-লরিগুলোও। শনিবার রাতে দেশের তিন বিভাগে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

গতকাল সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের কারণে খুলনা, রাজশাহী রংপুর বিভাগের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন বিপণন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পণ্য যাত্রীবাহী সব ধরনের যানবাহনের মালিকরা। ডিজেল সংগ্রহ করতে না পেরে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

রংপুর: ধর্মঘটের কারণে গতকাল সকাল থেকে রংপুর মহানগরীর পেট্রলপাম্পগুলো বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। ফলে পাম্পে জ্বালানি তেল নিতে এসে অনেকেই ভোগান্তি পোহান।

মেঘনা, পদ্মা যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের জেলায় ডিজেলের চাহিদা কোটি ২৫ লাখ লিটার, পেট্রলের চাহিদা ২৫ লাখ ৫০ হাজার লিটার অকটেনের চাহিদা লাখ লিটার। রংপুর বিভাগে পাম্প আছে ৩৫০টি। এর মধ্যে রংপুর জেলায় রয়েছে প্রায় ৮৫টি। এমনিতেই চাহিদার তুলনায় কম জ্বালানি তেল সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে অঞ্চলে। তার ওপর পেট্রলপাম্পে ধর্মঘট শুরু হওয়ায় জ্বালানি সংকটে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পেট্রলপাম্প মালিক সমিতি রংপুর বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক শাহ্ মো. সেলিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাবি আদায়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালন করছি।

বগুড়া: ধর্মঘটের কারণে বগুড়ায় দিনব্যাপী পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখেন মালিকরা। সকাল থেকে বগুড়া শহর মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন পেট্রলপাম্প কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়া হয়। কোনো পাম্পই পেট্রল ডিজেল বিক্রি করছে না। পাম্প বন্ধের পাশাপাশি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বিপণনও বন্ধ রয়েছে। এতে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো জ্বালানি সংকটে পড়ে।

বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার বাসিন্দা মোটরসাইকেলচালক রিপন ইসলাম জানান, তিনি মোটরসাইকেলের তেল খুঁজে পাচ্ছেন না। এক মুদি দোকানে রাখা কিছু তেল কিনে নিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে হচ্ছে। তেলে রোববার পার হলেও সোমবার কী করে তেল পাবেন তা নিয়ে চিন্তায় আছেন তিনি।

বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএ মোমিন দুলাল জানান, আমাদের ১৫ দফা দাবি ন্যায়সংগত। এসব দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন সময় আলোচনা করলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট দিতে হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

কুড়িগ্রাম: সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতিসহ ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে কুড়িগ্রামের পেট্রলপাম্পগুলোয়ও। গতকাল ভোর ৬টা থেকে কুড়িগ্রাম জেলা উপজেলার সব পেট্রলপাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ করার পাশাপাশি ট্যাংক-লরি চালানো বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। এতে করে পেট্রলপাম্পগুলোতে তেল না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেলসহ তেল দিয়ে চালিত সব ধরনের যানবাহনের মালিক শ্রমিকরা।

সিরাজগঞ্জ: গতকাল সকাল থেকে বগুড়ায় পেট্রল ডিজেলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন চালক মোটরসাইকেল আরোহীরা।

সিরাজগঞ্জ শহর, শহরতলি এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত জ্বালানি তেলের পাম্পগুলো

ঘুরে দেখা গেছে সবগুলোই তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছে। প্রত্যেক পাম্পে রয়েছে ১৫ দফা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন