বিশ্বব্যাংকের সম্প্রতি
প্রকাশিত ডিজিটাল
ডিভিডেন্ডস শীর্ষক
এক প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে,
ইন্টারনেটের মাধ্যমে
এখন একদিনে
বিশ্বে ২০
হাজার ৭০০
কোটি মেইল
পাঠানো হয়,
গুগলে মানুষ
প্রতিদিন ৪২০
কোটি বিভিন্ন
বিষয় খোঁজে।
এক যুগ
আগেও তথ্যপ্রযুক্তির
ক্ষেত্রে এ
পরিবর্তনগুলো ছিল
অকল্পনীয়। ডিজিটাল
এই বৈপ্লবিক
পরিবর্তনকেই বলা
হচ্ছে ‘চতুর্থ
শিল্প বিপ্লব’।
চতুর্থ শিল্প
বিপ্লবের ধারণাটি
প্রথম এপ্রিল
২০১৩-তে
জার্মানিতে আনুষ্ঠানিকভাবে
উপস্থাপিত হয়েছিল।
এ বিপ্লব
সম্পর্কে বহুজাতিক
মোবাইল অপারেটর
ডিজিসেলের চেয়ারম্যান
ডেনিস ও
ব্রায়েন বলেন,
‘চতুর্থ শিল্প
বিপ্লব হিসেবে
ডিজিটালাইজেশন আমাদের
কাজের সব
ক্ষেত্রে এরই
মধ্যে বিশাল
পরিবর্তন নিয়ে
এসেছে, তবে
এ পরিবর্তনকে
আমি দেখি
সূচনা হিসেবে।
আগামী ১০
বছরে ডিজিটাল
বিপ্লবের ফলে
আমরা এমন
সব পরিবর্তনের
মুখোমুখি হতে
যাচ্ছি, যা
এর আগে
৫০ বছরেও
সম্ভব হয়নি।’
ডব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতা
ও নির্বাহী
প্রধান ক্লাউস
শোয়ার চতুর্থ
শিল্প বিপ্লব
নিয়ে নিজের
লেখা একটি
প্রবন্ধে বলেছেন,
‘আমরা চাই
বা না
চাই, এতদিন
পর্যন্ত আমাদের
জীবনধারা, কাজকর্ম,
চিন্তাভাবনা যেভাবে
চলেছে, সেটি
বদলে যেতে
শুরু করেছে।
এখন আমরা
এক প্রযুক্তিগত
পরিবর্তনের মধ্য
দিয়ে যাচ্ছি।
দ্বিতীয় ও
তৃতীয় শিল্প
বিপ্লবের ভিত্তির
ওপর শুরু
হওয়া ডিজিটাল
এ বিপ্লবের
ফলে সবকিছুর
পরিবর্তন হচ্ছে
গাণিতিক হারে,
যা আগে
কখনো হয়নি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
হলো, বিশ্বের
প্রতিটি দেশের
প্রতিটি খাতে
এ পরিবর্তন
বিভিন্নভাবে প্রভাব
ফেলছে। ফলে
পাল্টে যাচ্ছে
উৎপাদন প্রক্রিয়া,
ব্যবস্থাপনা, এমনকি
রাষ্ট্র চালানোর
প্রক্রিয়া।’ এ
বিপ্লবের আলোচিত
প্রযুক্তিগুলো হচ্ছে
(ক) কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা ও
মেশিন লার্নিং
(খ) উন্নত
মানের রোবোটিকস
ও অটোমেশন (গ)
ইন্টারনেট অব
থিংস (ঘ)
ব্লকচেইন প্রযুক্তি
(ঙ) থ্রি-ডি
প্রিন্টিং (চ)
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং
(ছ) উন্নত
মানের জিন
প্রযুক্তি (ঝ)
নতুন ধরনের
শক্তি।
একদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর ফলে সব মানুষেরই আয়ের পরিমাণ ও জীবনমান বাড়বে। বিশ্বের পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়ায়ও ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। এক দেশ থেকে আরেক দেশে পণ্য পাঠানোর খরচ অনেক কমে আসবে, ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। তবে আরেক দল অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ডিজিটাল বিপ্লব বিশ্বের অসাম্য ও দারিদ্র্য পরিস্থিতিকে আরো দুর্বিষহ পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে মানুষের দ্বারা সম্পন্ন অনেক কাজ রোবট ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সম্পন্ন করা হবে, ফলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সৃষ্টি হবে। এছাড়া শ্রমবাজারে অল্প কর্মদক্ষ শ্রমিকদের