অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সাবেক এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জির সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডিতের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৬ টাকা অর্থদণ্ডও করেছেন।
ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন গত ১৪ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা করেন। যা দুদকের প্রসিকিউটর রেজাউল করিম রেজা মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় সত্যজিৎ পলাতক ছিলেন, তাই তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি হয়েছে।
রায়ে সত্যজিৎকে স্বেচ্ছায় ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় জেলা কালেক্টর ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান মতে আদায় করবেন।
দণ্ডিত সত্যজিৎ ফরিদপুর জেলার সদর থানার গোয়ালচামটের মানষ মুখার্জির ছেলে। তিনি সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনের এপিএস ছিলেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১৫-১৬ করবর্ষ পর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানে এপিএস সত্যজিত মুখার্জির মোট ২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৯ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩০ আগস্টে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে আয়বাবদ ১ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদ দেখা যায়। বাকি ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৬ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত হিসেবে প্রমাণিত হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৯ জুন রমনা মডেল থানায় দুদকের উপ-পরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। একই কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পরের বছর ২৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলার বিচারকালে আদালত ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
