কুমিল্লায় শানু বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল ভোরে আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সকালে দেবীদ্বার উপজেলার খাদঘর এলাকায় একটি ট্রলিব্যাগ থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত শানু বেগম হাতিগাড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী। তাকে হত্যার অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোরে শানু বেগম রান্নাঘরে পিঠা তৈরি করছিলেন। এ সময় সেখানে দেলোয়ার হোসেন প্রবেশ করেন। শানু বেগম তাকে রান্নাঘরে আসার কারণ জানতে চাইলে দুজনের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন বঁটি দিয়ে শানু বেগমের গলায় আঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা শানু বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়রা দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল সকাল ৯টার দিকে খাদঘর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে একটি পরিত্যক্ত ট্রলিব্যাগ দেখতে পান হাইওয়ে পুলিশের টহল দলের সদস্যরা। পরে ওই ট্রলিব্যাগ থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের ধারণা, ওই কিশোরীকে হত্যার পর মরদেহ ট্রলিব্যাগে ভরে এখানে ফেলা হয়।
দেবীদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, নিহত ওই কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।