ম্যাচটা হতে পারত এভারটনের প্রত্যাবর্তনের গল্পে রাঙানো। ৯৭ মিনিটে গিয়ে চেঙ্ক তোসুনের গোলে নিশ্চিত হার এড়িয়ে মাঠ ছাড়ে গুডিসন পার্কের ক্লাবটি। কিন্তু সেসব ঘুরে দাঁড়ানোর উত্তেজনা শেষ হয়ে গেছে আরো আগে। ম্যাচের তখন ৭৯ মিনিটের খেলা চলছিল। বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আন্দ্রে গোমেজ। তাকে থামাতে পেছন থেকেই ট্যাকল করে বসলেন সন। একটু সামনে যেতে বাধা পেলেন সের্গে অরিয়ের। তখনই হাত উঁচিয়ে দিয়েছেন সন। অবশ্য পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছিল না কী ঘটেছে মাঠে। তবে গোটা দৃশ্য পরিষ্কার হতে সময়ও খুব বেশি লাগল না। বিপজ্জনক ফাউলে ভয়ংকরভাবে পা ভেঙে গেছে গোমেজের।
মেনে নিতে পারলেন না সনও। ‘অবিশ্বাসে’ মাথায় হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় সনকে। তবে শাস্তির চেয়ে সনের কান্নাই এখন আলোচিত বিষয়। কেবল সনই নন, অরিয়েরও মানতে পারছিলেন না এ ঘটনা। মাথা নিচু করে কপাল চাপড়াতে ও প্রার্থনা করতে দেখা গেল তাকেও। অন্যদিকে ভাঙা পা নিয়ে গোমেজ মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে। এ ঘটনার পর তার ক্যারিয়ার নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
ভয়ংকর এ অভিজ্ঞতার পর দলকে সমতায় ফিরিয়েও উচ্ছ্বসিত হতে পারছেন না তোসুন। বলেছেন, শেষ মুহূর্তে পাওয়া গোলটির বদলে গোমেজকে এমন ভয়ংকর ইনজুরিতে পড়তে না হলেই বরং বেশি খুশি হতেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম পেজে তিনি লেখেন, ‘আপনি জেতেন, ড্র করেন এবং হারেন, কিন্তু এ রকম কিছু ঘটার পর এসব কোনো গুরুত্বই বহন করে না।’
সনের মানসিক অবস্থা নিয়ে সতীর্থ ডেলে আলি বলেন, ‘সে বিধ্বস্ত এবং কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এটা তার ভুল ছিল না। আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর মানুষগুলোর একজন সন। সে এমনকি তার মাথা তুলতে পারছে না। সে অনেক কান্না করেছে।’ বিবিসি ও এএফপি