চাঁপাইনবাবগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইন মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির তিন সদস্যকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার বাকি ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। তবে খালাসপ্রাপ্তদের নাম জানা যায়নি।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নীলফামারী সদর উপজেলার সুখধনডাংগা গ্রামের মুর্তজা আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮), নওগাঁর
নিয়ামতপুর থানার আলিমপুর গ্রামের মৃত আ. আলিমের ছেলে হযরত আলী (৩৩) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের এন্তাজ আলী ছেলে একরামূল হক (৫১)।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা ২০০৮ সালের ২৫ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের একরামূল হকের বাড়িতে গোপন বৈঠক করছিলেন। এ সময় সেখানে অভিযান চালায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সদস্য পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে রফিকুল ইসলাম, একরামুল হক ও হযরত আলীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশনাপত্র ও কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানার এসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির পরির্শক মো. রফিকুল হোসেন ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ১৮ জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তিনজনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে গতকাল রায় ঘোষণা করেন আদালত।
