দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। এতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। অনেক সময় মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যালয় ছুটি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বৃষ্টির সময় মাঠের জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশপাশের স্থান থেকে নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয়ের অবস্থান তুলনামূলক নিচু এলাকায়। এছাড়া বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ড্রেনগুলো সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। গত বুধবার থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নাটোরে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ ও ক্যাম্পাসজুড়ে অন্তত দুই ফুট পানি জমা হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সামান্য বৃষ্টিতে দিনের পর দিন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ ও ক্যাম্পাসজুড়ে দুই ফুট পানি জমে যায়। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে গতকাল সকালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়েন চরম বিপাকে। অনেক শিক্ষার্থী পানি দেখে বাড়িতে ফিরে যান। কেউ আবার তিন গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ভেতরে ঢোকেন।
গতকাল দুপুরে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের মাঠে প্রচুর পানি জমা হয়েছে। বিদ্যালয়ের এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যেতে শিক্ষার্থীরা বেঞ্চ দিয়ে সেতু বানিয়েছে। ভবন ছাড়া বিদ্যালয়ের সর্বত্র পানি। শেষ পর্যন্ত ছাত্র সংকটে ক্লাস হয়নি। জেলার সেরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
অভিভাবক রফিকুল ইসলাম জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ে আর প্রবেশের কোনো পথ থাকে না। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গেলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। মাঝে মধ্যেই জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান কোথায়, কেউ বলতে পারে না।
রাফি নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানি বের হওয়ার কোনো পথ না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। এছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে না। তাই ক্লাসও ঠিকমতো হয় না। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এ বিষয়ে সরকারি