নিজের সংগ্রামী জীবনের গল্প শুনিয়ে ক্রীড়াবিদদের উজ্জীবিত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে গত এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ীদের ফ্ল্যাটের কাগজপত্র হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার মমতায় আপ্লুত ক্রীড়াবিদরা ফিরেছেন তৃপ্তি নিয়ে।
গতকাল দুপুরে ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে সাক্ষাতে নিষ্ঠার সঙ্গে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে ক্রীড়াবিদদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রতিশ্রুতি দেন সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতার কোনো ঘাটতি থাকবে না। জোড়া স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা, শুটার শাকিল আহমেদ ও ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তর (পক্ষে বাবা হারুনুর রশীদের) হাতে ফ্ল্যাটের কাগজপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের নানা বাঁকে যে সংগ্রামের গল্প রয়েছে তা আমাদের শুনিয়েছেন। শুধু নিজের জীবনের নয়, তার সন্তানদের পরিশ্রমের গল্পও শুনিয়ে আমাদের উজ্জীবিত করেছেন তিনি। ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, জীবনে বড় হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তোমরা মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাও। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার কোনো কমতি থাকবে না’, শুক্রবার গণভবন থেকে ফিরে বণিক বার্তাকে জানান মাহফুজা খাতুন শীলা।
২০১৬ সালে গুয়াহাটি ও শিলংয়ের যৌথ আয়োজনের এসএ গেমসে নারীদের ৫০ ও ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে স্বর্ণ জয় করেন শীলা। ৫০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে শাকিল ও ভারোত্তোলনে নারীদের ৬৩ কেজি ওজন বিভাগে মাবিয়া স্বর্ণ জয় করেন। গেমসের পর স্বর্ণজয়ীদের ফ্ল্যাট প্রদানের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্ল্যাট হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে স্বর্ণজয়ীদের বাসা ভাড়া প্রদানের ঘোষণাও দেয়া হয়।
তিন বছর আগে ওই ঘোষণা দেয়ার পর ছয় মাসের ভাড়া পেয়েছেন তিন অ্যাথলিট। ৩০ মাসের ভাড়া আটকে আছে শুনে প্রধানমন্ত্রী কষ্ট পেয়েছেন উল্লেখ করে শীলা বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভাড়া বকেয়া রয়েছে শুনে মন খারাপ করেছেন। তিনি আমাদের বলেছেন, তোমরা বিষয়টা আমাকে জানাবে না! বকেয়া পরিশোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’
প্রাথমিকভাবে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ফ্ল্যাট দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখান থেকে এসে অ্যাথলিটদের ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা কঠিন। এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী মিরপুর পুলিশ কনভেনশন হল সংলগ্ন এলাকায় ফ্ল্যাট প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
‘প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে আমাদের ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দিতে চান। তিনি জানতে চেয়েছেন আমরা