জুভেন্টাস ও সিটির জয়

দুইয়ে নামল রিয়াল

আগের ম্যাচে জিতে শীর্ষে উঠে এসেছিল বার্সেলোনা। আর তাই বার্সাকে সরাতে মায়োর্কার বিপক্ষে জিততে হতো রিয়ালকে। কিন্তু বার্সার উজ্জ্বল দিনে নিষ্প্রভই কেটেছে রিয়ালের। ২০১৩ সালের পর লা লিগায় ফিরে আসা মায়োর্কার বিপক্ষে শুরুতে হজম করা গোল পুরো ম্যাচে আর ফিরিয়ে দিতে পারেনিলস ব্লাঙ্কোসরা। - গোলের হারে হাতছাড়া হওয়া শীর্ষ স্থান আর পুনরুদ্ধার করতে পারেনি তারা। ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ১৮, আর শীর্ষে ওঠা বার্সার পয়েন্ট ম্যাচে ১৯। অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে - গোলের জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর রোনালদোর গোল পাওয়ার রাতে বোলোগনাকে - গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস।

মায়োর্কার বিপক্ষে রিয়ালের হার এখন নতুন করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে জিনেদিন জিদানের কপালে। সর্বশেষ যেবার দলের বিপক্ষে রিয়াল হেরেছিল, তখনো রিয়াল স্কোয়াডে ছিলেন জিদান। অবশ্য তখন ছিলেন খেলোয়াড় হিসেবে। জিদানের সেই দলে ছিলেন ডেভিড বেকহাম রবিনহোর মতো তারকারাও। কিন্তু সে হারের গল্প আরো ১৩ বছর আগের। ২০০৬ সালে মায়োর্কার বিপক্ষে হারের স্বাদ পেয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এখন হারের সঙ্গে চলতি মৌসুমে রিয়ালের নড়বড়ে অবস্থাকে যেন আরো বেশি সামনে নিয়ে এসেছে। পাশাপাশি অবশ্য দলের সেরা তারকাদের অনেককে না পাওয়াকেও হয়তো দুষতে পারেন জিদান।

ক্রুস-বেল-হ্যাজার্ডের মতো তারকাদের চোট ব্যক্তিগত কারণে দলে রাখতে পারেননি জিদান। আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রথম ম্যাচটি তাই রিয়ালের জন্য ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু দলে সুযোগ পাওয়া বাকিরা সে চ্যালেঞ্জ উতরাতে পারেননি। মাত্র মিনিটে পাওয়া লিডটিই রিয়ালের হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ম্যাচ শেষে। গোলই গড়ে দেয় জয়-পরাজয়ের ব্যবধান। লাগো জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর রিয়ালকে চেপে ধরে মায়োর্কা। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেও অফসাইড বাঁচিয়ে দেয় রিয়ালকে। পরে অবশ্য ম্যাচে ফেরার জোর প্রচেষ্টা চালায় রিয়াল। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে বেশ চাপ তৈরি করে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে। তবে পুরো ৯০ মিনিটের প্রচেষ্টাও ভাঙতে পারেনি মায়োর্কা ডিফেন্স। বিরতির পরও রিয়ালের সময় কেটেছে গোলের খোঁজে হন্য হয়ে। এর মাঝে বিপর্যয় বাড়ে অদ্রিওজোলা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে। শেষ সময়টা তাই ১০ জন নিয়েই খেলতে হয় রিয়ালকে।

এদিকে রিয়ালের হারের রাতে জয় পেয়েছে জুভেন্টাস। তুরিনে জুভদের জয়ে গোল করেছেন রোনালদো। - গোলের জয়ে অন্য গোলটি এসেছে মিরালেম পিয়ানিচের কাছ থেকে। এদিন আধিপত্য বিস্তার করা জুভেন্টাস ম্যাচে লিড নেয় ১৯ মিনিটের মাথায়। দারুণ এক লক্ষ্যভেদী শটে দলকে এগিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিজের ৭০১তম গোলটিও আদায় করে নেনসিআর সেভেন এরপর অবশ্য ২৬ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আনে বোলোগনা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে গোল করে ব্যবধান - করেন মিরালেম পিয়ানিচ। গোলই পরে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। প্রিমিয়ার লিগে ৩৯ থেকে ৪১ মিনিটের মাঝে দুই গোল করে জয় নিশ্চিত করেছে ম্যানসিটি। বিবিসি এএফপি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন