বগুড়ায় দৃষ্টিহীনদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় এ কার্যক্রমে ব্রেইল পদ্ধতিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ে। পাশাপাশি তাদের বিশেষ যত্নের জন্য রয়েছে আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থাও।
বগুড়া সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দৃষ্টিহীনদের শিক্ষার জন্য সমন্বিত এ কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। বগুড়ায় বর্তমানে যে ভবনে এ কার্যক্রমের কার্যালয় ও শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেটি নির্মিত হয় ২০১৬ সালে। সুলতানগঞ্জ হাইস্কুল মাঠের এক অংশে দ্বিতল ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২ কোটি টাকা। এরপর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ভবন হস্তান্তর শেষে ২০১৮ সাল থেকে এখানে কার্যক্রম শুরু হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ কার্যক্রমের প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘রিসোর্স শিক্ষকের’ তত্ত্বাবধানে ১০ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আরো রয়েছে একজন করে হাউজ প্যারেন্ট কাম শিক্ষক, বাবুর্চি ও নৈশপ্রহরী। বগুড়ার এ কেন্দ্রে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে নয়জন। তাদের প্রত্যেকের জন্য প্রতি মাসে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা দিয়ে শিক্ষা উপকরণের পাশাপাশি তাদের সার্বিক ব্যয় বহন করা হয়।
বগুড়ার এ কার্যক্রমে অধ্যয়নরতদের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণীতে তিনজন, পঞ্চম শ্রেণীতে একজন ও নবম শ্রেণীতে চারজন লেখাপড়া করছে। এছাড়া কাবিল হোসাইন নামে একজন পড়ছেন একাদশ শ্রেণীতে। এসএসসিতে জিপিএ ৫ নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছেন বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজে।
নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মো. জিসান হোসেন জানায়, এর আগে সে জয়পুরহাটের একটি স্কুলে পড়ত। বগুড়ার সান্তাহারের উতরাইল এলাকায় তার বাড়ি হওয়ায় পরে সে এখানে ভর্তি হয়। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ ৪ পেয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে এসএসসিতে আরো ভালো ফলের জন্য।
এখানে অধ্যয়নরত নবম শ্রেণীর আরেক দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী কাওছার ইসলাম বলেন, পড়াশোনার জন্য সরকারিভাবে তাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তার খাওয়া, পোশাক ও স্কুলের বেতনসহ সব খরচ সরকারিভাবে দেয়া হয়।
বগুড়া সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের হাউজ প্যারেন্ট কাম শিক্ষক মো. রাশেদুল হাসান জানান, তিনি বগুড়া সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কারিগরি প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন। এখানে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ নিবাসে থেকে ছাত্ররা যাতে ভালো শিক্ষা অর্জন করতে পারে সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়। তাদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির বই আছে। এ পদ্ধতিতে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই পড়ালেখা
- পঞ্চগড়ে নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
- পাটগ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
- ফেনীতে কিশোরগ্যাং সোয়াগ ৪৭ এর ৬ সদস্য গ্রেফতার
- ঘোড়াঘাটে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২