খুলনায় খানজাহান আলী সেতু থেকে ফেলে স্ত্রী ও ১৪ মাস বয়সী শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহা. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তের নাম অন্তর হোসেন রমজান (২৯)। তিনি পরিবার নিয়ে খালিশপুরে বসবাস করতেন। রায় ঘোষণাকালে অন্তর হোসেন রমজান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের জুনে রমজান তার স্ত্রী ও ১৪ মাস বয়সী ছেলে রহিমকে নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে খালিশপুরের বাসা থেকে বের হন। কিন্তু তিনি তাদের নিয়ে কোনো বাসে না উঠে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে খানজাহান আলী সেতুতে ঘুরতে যান। সেখানে সুযোগ বুঝে রাত ৯টার দিকে রমজান নিজেই স্ত্রী তৈয়বা ও ছেলে রহিমকে কৌশলে সেতু থেকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেন। এ সময় সেতুতে থাকা লোকজন বিষয়টি দেখে রমজানকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় তৈয়বার মা রাশিদা বাদী হয়ে ২৮ জুন একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ২০ মে রমজানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার শুনানি চলাকালে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় গতকাল আসামি অন্তর হোসেন রমজানকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত।