শি জিনপিং চেয়ারম্যান সিপিসি এবং আজীবন চীনের প্রেসিডেন্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর সিদ্ধান্ত, শক্ত অবস্থান, রাজনৈতিক ও বাজার অর্থনীতির সংস্কার প্রসঙ্গে খোলামেলা নীতির কারণে যেমন নিজ দেশে প্রশংসিত হয়েছেন, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে আমেরিকা, রাশিয়ার সহাবস্থানে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯১৯ সালের ভার্সাই চুক্তির বিরুদ্ধে চীনে আন্দোলন হয়। কারণ এ চুক্তিতে চীনের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। পশ্চিমা পুঁজিবাদী দর্শনের প্রতি চীনের বামপন্থী নেতাদের মধ্যে চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে, যার
পেছনে বলশেভিক বিপ্লবের ভূমিকাও ছিল। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধের অবসান হয় এবং ১ অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণার মাধ্যমে মাও সে তুং চীনের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। রাজনৈতিক অভিযান ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে চীনের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্যাপকভাবে ভূস্বামীদের গণহারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় এবং ১৯৬৬ সালে মাও সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু করেন। ফলে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে। যদিও পশ্চিমা পুঁজিবাদী ধ্যানের বিপরীতে চীনের মাও সে তুং ছিলেন একনায়ক ও স্বৈরাচারী। কিন্তু আমরা ১৯৭৬ সালে মাওয়ের মৃত্যুর পর দেখেছি যে তিনি চীনের জনগণের জন্য একজন মহান নেতা, যিনি ছিলেন একাধারে বিপ্লবী সমাজসংস্কারক ও বর্ণাঢ্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং চীনের নেতৃত্বদানকারী একজন শক্তিশালী মহান নেতা। আজকের চীনের এই উত্থানে মাও সে তুংয়ের অবদানকে কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। যে বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন তৃতীয় স্বাধীনতা দিবসে যোগদান করেছিলেন, পরবর্তীতে জেলখানায় তার বিরল গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বর্ণনায় পাওয়া যায়।
আজকে চীনের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে অবস্থানের বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে ফুটে ওঠে আমাদের স্বাধীনতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম।
যেমন হিমালয়ের নির্যাস খরস্রোতা নদীর মতো আর মায়ের অপত্য ভালোবাসার মতো স্বতঃস্ফূর্ততা নিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে সব কুসংস্কার ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নতুন মাত্রায় উত্তরণের লক্ষ্যে কঠোর সংগ্রাম আর সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা অর্জিত হলো, নব প্রতিষ্ঠিত সেই স্বাধীন বাংলাদেশে একটি শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থার জন্য যখনই বঙ্গবন্ধু তার পরিকল্পনায় অগ্রসর হয়েছিলেন, তখনই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। বেঁচে থাকেন শুধু তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
আর যে অমূল্য অর্ঘ্য বাঙালি জাতির আত্মপ্রত্যয় এবং বিকাশ সাধনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্রোতস্বিনী নদীর মতো বহমান, বিশ্বসভায় বাঙালির অলংকার নির্মাণে এ জাতিকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন যিনি, তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, শান্তির দূত, মহাপ্রাণ এবং আমাদের স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠাতা।
চীনের এই বর্তমান উত্থান সম্পর্কে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় চীন সফরের সময় অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতির জন্য মনেপ্রাণে অনুভব করেছেন এবং চীন সফরের সময় বঙ্গবন্ধুর চীনের জনগণের পরিশ্রম ও শৃঙ্খলায় মুগ্ধ হয়ে চীন সম্পর্কে তাদের প্রগতির ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। চীনের নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মাও সে তুং ও চৌ এন লাইয়ের চীনের প্রশংসা করেন তিনি। চীনের জনগণের অগ্রগতি সম্পর্কে যে কথা বলেছিলেন, তার কিয়দাংশ উপর্যুক্ত বর্ণনার আলোকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে এখানে উল্লেখ করা হলো:
“এবারের ১ অক্টোবর তৃতীয় স্বাধীনতা দিবস। শান্তি সম্মেলনের ডেলিগেটদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের ঠিক পেছনে উঁচুতে মাও সে তুং, চ্যু তে, মাদাম সান ইয়েং সেন (সুং চিং লিং), চৌ
এন লাই, লিও শাও চিসহ
- কারখানার তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ: গবেষণার যে জ্ঞান কাজে লাগাতে অনীহা
- আমাদের যেন ঋণ এনে ঋণ পরিশোধ করতে না হয়
- বোরোর হিট স্ট্রোক মোকাবেলায় করণীয়
- তথ্যের অসংগতি সঠিক নীতি গ্রহণের পথে অন্তরায়
- পারিবারিক ব্যবসা টেকসই না হওয়ার মূলে রয়েছে কাঠামোগত সমস্যা
- ম্যালেরিয়ার বাহক নিয়ন্ত্রণে গবেষণা জোরদার করা প্রয়োজন