তারাপুর চা বাগানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি সিলেট

সিলেটের তারাপুর চা বাগানের ভূমি দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। তবে বাগানের ভেতরে এখনো আরো বেশকিছু স্থাপনা রয়ে গেছে।

জানা গেছে, ২৫ বছর ধরে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখল করে রেখেছিলেন শিল্পপতি রাগিব আলী। ৪২২ একর আয়তনের এ চা বাগানের মূল্যমান প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালের ১৫ মে জেলা প্রশাসন রাগিব আলীর দখলমুক্ত করে সেবায়েত পংকজ গুপ্তকে এ বাগান বুঝিয়ে দেন। ওই সময় সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাগানটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ারও নির্দেশ দেন আদালত।

তবে পরে আবার এ বাগান দখলের পাঁয়তারা শুরু করে বিভিন্ন গোষ্ঠী। এ উদ্দেশ্যে তারা তারাপুরের ‘দুসকি’ ও ‘মোহাম্মদপুর’ এলাকায় চা ভূমি দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করে। গতকাল এসব স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোজিনা আক্তারের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদ ভূমি কর্মকর্তা মুকুল চন্দ্র দাশসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন। অভিযানের সময় গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বাগান দখল করে নির্মিত ১১টি স্থাপনা। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে পাকা, আধা পাকা, কাঁচা ও টিনশেড ঘরবাড়ি। অভিযানে ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও বাগানের ভেতরে আরো শতাধিক স্থাপনা রয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, ওই এলাকায় অন্যান্য অবৈধ দখলদার যারা পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন, মানবিক বিবেচনায় তাদের বাড়িঘর না ভেঙে সময় দেয়া হয়েছে। তাদের সত্বর বাগান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সেবায়েত পংকজ গুপ্ত বলেন, বাগানের ভেতরে আরো শতাধিক স্থাপনা এখনো রয়েছে।

এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোজিনা আক্তার বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বাগানে নতুন করে কোনো স্থাপনা তৈরি করতে দেয়া হবে না। সম্প্রতি বাগানের জমিতে বেশ কয়েকটি স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সেগুলো উচ্ছেদে আমরা অভিযান শুরু করেছি। গতকাল ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযান আরো কয়েক দিন চলবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন