ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ উদ্যোগ

ছবি : বণিক বার্তা

২০১০ সালের পর বাংলাদেশের যে ডিজিটাল রূপান্তর, ফলে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে বিপুল ইলেকট্রনিক পণ্য, বেড়েছে উৎপাদনও। সেই সঙ্গে প্রতি বছর তার একটি অংশ যুক্ত হচ্ছে ই-বর্জ্যের ভাণ্ডারে। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ, এসি, মাইক্রোওয়েভসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক সামগ্রী।  

ই-বর্জ্যের মধ্যে সিসা-পারদের মতো অস্বাস্থ্যকর বিষাক্ত পদার্থ যেমন থাকে, তেমনি আবার কিছু পরিমাণে থাকে সোনা-রুপার মতো মূল্যবান ধাতব পদার্থ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার (রিসাইক্লিং) প্রক্রিয়ায় সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা না হলে সেটি প্রক্রিয়ায় যুক্ত মানুষের গর্ভাবস্থা, শৈশব ও কৈশোরকালে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশকে ব্যাহত করতে পারে। প্রভাবিত করতে পারে ফুসফুসের গঠনগত বিকাশ ও কার্যকারিতাকে। 

ওয়ালটন তাই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। ‘নতুন সময়ের নয়া প্রযুক্তি, নবপ্রজন্মের সবুজ পৃথিবী’—এ স্লোগানে ওয়ালটন শুরু করেছে ‘কম্পিউটার এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-৪’। এ উদ্যোগের আওতায় ক্রেতারা যেকোনো ব্র্যান্ডের সচল বা অচল ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটর, প্রিন্টার, ট্যাব, স্পিকার, সিসিটিভি পণ্য বদলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সমজাতীয় নতুন পণ্য কিনতে পারবেন। এছাড়া বাজারের যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি বদলে ওয়ালটনের ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ইনভার্টার টেকনোলজির এসি নিতে পারছেন গ্রাহকরা। 

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম মাহবুবুল আলমের ভাষ্য, ‘ব্যবহার অনুপযোগী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস যত্রতত্র ফেলে দেয়ায় পরিবেশ ও মানবজাতি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের সচেতন হতে হবে। তা না হলে দুর্ভোগ আমাদেরই পোহাতে হবে। তাই এক্সচেঞ্জ অফার পরিচালনার মাধ্যমে দেশে ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ওয়ালটন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন