আর.বি থেকে ওয়ালটন এবং প্রথম পণ্য

ছবি : সংগৃহীত

ওয়ালটন মানে ‘উইন্ড অব অল্টারেশন’ বা পরিবর্তনের হাওয়া। দেশের ইলেকট্রনিক পণ্যের জগতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে তা পৌঁছে দিতেই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম। বাংলাদেশে একের পর এক কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ওয়ালটন আজ ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল শিল্প খাতের মহীরুহে পরিণত হয়েছে।

অবশ্য ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা এসএম নজরুল ইসলাম নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে। বাবার তত্ত্বাবধানে তিনি ভারতের আসামের সঙ্গে নৌপথে ব্যবসা করতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নজরুল ইসলাম আলাদা ব্যবসা শুরু করেন। করতেন ঠিকাদারি ব্যবসা। ১৯৭৭ সালে বড় ছেলে এসএম নুরুল আলম রেজভীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন একটি নতুন কোম্পানি, যার নাম রেজভি অ্যান্ড ব্রাদার্স। এ কোম্পানি আর.বি গ্রুপ নামেই পরিচিতি পায়। তখন তারা টেলিভিশন আমদানি করে দেশের বাজারে বিক্রি করত। কোম্পানিটি ২০০৮ সালে রেফ্রিজারেটর তৈরির মাধ্যমে ওয়ালটন গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। 

ওয়ালটন তাদের প্রথম পণ্য টেলিভিশন ব্যবসাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। তাদের রয়েছে সর্ববৃহৎ টেলিভিশন আরঅ্যান্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগ। দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরন্তর গবেষণায় টেলিভিশন শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুফল ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। টিভির গুণগত মানের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ওয়ালটন। দেশের টেলিভিশন বাজারের ৩০ শতাংশের বেশি এখন দেশী এ কোম্পানির দখলে। 

টেকসই পণ্য, উচ্চ গুণগত মান, সাশ্রয়ী মূল্য, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজাইনের কারণে দেশের শীর্ষ টিভি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানও এখন ওয়ালটন। ৩৫টির বেশি দেশে শতাধিক ব্যবসায়িক অংশীদারের মাধ্যমে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত এসব টিভি রফতানি করা হচ্ছে। 

ওয়ালটন টেলিভিশনের বড় রফতানি বাজার এখন ইউরোপ। বর্তমানে জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, রোমানিয়া, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসসহ এ অঞ্চলের ১৪টি দেশে ওয়ালটনের টিভি যাচ্ছে। ওয়ালটনের মোট টিভি রফতানি আয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশই আসে ইউরোপের বাজার থেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন