৩ বছরে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করা প্রায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থীর অধিকাংশই বেকার

ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া

ছবি : বণিক বার্তা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে গত তিন বছরে (২০২১-২৩) উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন প্রায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থী। তবে এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই এখনো কর্মহীন। চাকরি না পেয়ে শিক্ষিত এসব তরুণ-তরুণীর কেউ কেউ মানবেতর জীবনযাপনও করছেন। বিপুলসংখ্যক এ বেকারদের জন্য দ্রুতই কর্মসংস্থান তৈরি করা না গেলে দেশের জন্য তারা বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হতাশ হয়ে অনেকে হয়তো চলে যেতে পারেন বিপথেও। 

প্রতি বছর দেশে কী পরিমাণ তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে বের হচ্ছেন সে তথ্য সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সংস্থাটির ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সে বছর পাস কোর্স (তিন বছর মেয়াদি), স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৮ শিক্ষার্থী। যদিও কভিড মহামারীর কারণে ওই বছরে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন তুলনামূলক কম। ২০২২ সালে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেন ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬২০ জন। 

২০২৩ সালে কী পরিমাণ শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বের হয়েছেন সে তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া এখনো চলমান। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন প্রায় নয় লাখ শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে গত তিন বছরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮ লাখ ৯২ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। 

এসব শিক্ষার্থী বর্তমানে কী করছেন তার প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার জরিপ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব গ্র্যাজুয়েটের সিংহভাগই এখনো কর্মসংস্থানে প্রবেশ করতে পারেননি। আবার যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের বেশির ভাগই বেসরকারি ও মিড লেভেলের কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। 

বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২-এর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে দেশের উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাত্র ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ আনুষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সদ্য গ্র্যাজুয়েট সম্পন্নদের মধ্যে কর্মসংস্থানের এ হার আরো কম। তাদের বেশির ভাগই কর্মহীন। দেশে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে এমন ধস নামার পেছনে মূলত চাকরির বাজার সংকুচিত হওয়াকেই দায়ী করছেন তারা। দেশের শিল্প খাতের পরিধি বড় হলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে অনেক কম।

দেশে গত কয়েক বছর বেশি কর্মহীন বেড়েছে বলে মনে করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘এ সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিবর্তে চাকরির বাজার সংকুচিত হয়েছে। আমরা দেখেছি, দেশের বৃহৎ শিল্পগুলো কারখানা বড় করেছে, কিন্তু জনবল বাড়ায়নি। উল্টো শিল্প গ্রুপগুলো লোক ছাঁটাই করেছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের কোনো সুফল আমরা ভোগ করতে পারছি না। উল্টো এখনকার কর্মহীন তরুণরা ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠবে।’

বেকারত্বের জন্য মানহীন শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ী করে এ ব্যাংকার আরো বলেন, ‘বাজারে চাকরিপ্রার্থীর অভাব নেই, কিন্তু যোগ্য কর্মীর বেশ অভাব। ব্যাংকে নিয়োগের ভাইভা বোর্ডে বসে আমরা দেখছি, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না, নিজেকে উপস্থাপন করতে পারছেন না। বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা এখনই সবকিছু পেতে চান। দীর্ঘমেয়াদে তাদের লক্ষ্য নেই। এটি শিক্ষা ব্যবস্থারই ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি।’ 

সাধারণত যেসব চাকরিতে আইনি সুরক্ষা পাওয়ার মতো সুযোগ ও কাঠামো থাকে সেগুলোকেই আনুষ্ঠানিক কর্ম খাতের অন্তর্ভুক্ত ধরে নেয়া হয়। আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে বিশ্বে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। 

বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকার সেবা খাতে কর্মসংস্থান বাড়াচ্ছে। বেসরকারি খাতও বড় হচ্ছে। এর সঙ্গে সংগতি রেখে তরুণদের কর্মদক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে সব অভিভাবক চান তার সন্তান ডেস্ক জব করুক। ডেস্ক জব ছাড়া অন্যান্য চাকরিও যে সম্মানজনক, সেটি বুঝতে হবে। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোও জরুরি।

বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে অনেক অগ্রসর হলেও মূলত আমরা এখনো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ। এখন বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এর সঙ্গে চীন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তাল মিলিয়ে চলতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও ব্যবহার বাড়াতে হবে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বেসরকারি খাতের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে এনএসডিএর (জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের চাকরির সুযোগ তৈরি করতে হবে। এটা নিশ্চিত না হলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।’

বর্তমানে দেশের তরুণদের বড় অংশই সরকারি চাকরির পেছনে ছুটছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে চাকরিপ্রত্যাশীরা কম যোগ্যতার চাকরিতেও আবেদন করছেন। এছাড়া সৃষ্টি হচ্ছে সরকারি চাকরিকেন্দ্রিক বিভিন্ন আন্দোলনও। গত ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে দুই ধাপে ২ হাজার ১৭২ ওয়েম্যান নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চতুর্থ শ্রেণীর (১৯তম গ্রেড) এ পদের মূল কাজ রেলপথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। রেললাইনের নাট-বল্টু টাইট দেয়াসহ ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের কাজটিও করে থাকেন তারা। কায়িক পরিশ্রমনির্ভর পদটিতে আবেদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমান। অথচ সর্বশেষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওয়েম্যান হিসেবে চাকরি পাওয়া সবারই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর।

শুধু রেলওয়ে নয়, একই ঘটনা ঘটছে এ ধরনের অন্যান্য সরকারি চাকরিতেও। আবেদনকারীরা বলছেন, বেসরকারি চাকরিতে অনিশ্চয়তার কারণে তারা নিম্নপর্যায়ের পদে হলেও সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে চান। তাদেরই একজন শামীম ইসলাম (ছদ্মনাম), যিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগ দিয়েছেন। অথচ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৬তম গ্রেডের পদটিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল এইচএসসি পাস।

এ বিষয়ে আর্থিক খাতের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফাইন্যান্সিয়াল এক্সিলেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মামুন রশীদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সমীক্ষায় দেখা যায় বাংলাদেশে প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব রয়েছে। যারা কাজ পাচ্ছেন, সেটাও তার উপযুক্ত না। অনেকে স্নাতক শেষ করে পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হন। এ ধরনের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় যেটাই হোক একটা ডিগ্রি হলেই চলে। এছাড়া আরেকটি দল আছে শুধু বিসিএসের প্রতি আগ্রহী। আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো শিক্ষার মান। কারিগরি জ্ঞান নেই, সক্ষমতা উন্নত না, হাতেকলমে কোনো শিক্ষা নেই। ফলে মানসম্পন্ন কাজও করতে পারছেন না অনেকে।’ 

ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরই সিএসই ও আইটিতে স্নাতক সম্পন্ন করে বের হন ১২ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। তবে এর বিপরীতে দেশের আইটি শিল্পে প্রতি বছর জনবল নিয়োগ হয় কেবল পাঁচ হাজার। অর্থাৎ প্রতি বছর চাহিদার দ্বিগুণেরও বেশি শিক্ষার্থী এ দুই বিষয়ে স্নাতক করছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাচ্ছে না। ফলে স্নাতক শেষে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের বেশির ভাগকেই দীর্ঘদিন বেকার থাকতে হচ্ছে। 

চাকরির বাজারের নিয়োগদাতাদের অভিযোগ, কোডিংয়ের মৌলিক দক্ষতা অর্জন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে বেরিয়ে আসছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ফলে চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় মাত্রায় সিএসই ও আইটি স্নাতকদের নিয়োগ দিতে পারছেন না তারা। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) এক পর্যবেক্ষণেও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কোর্সে উত্তীর্ণ হয়ে এলেও ৮০ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী চাকরির লিখিত পরীক্ষায় মৌলিক কোডিং, ইংরেজি ও গণিতের মতো বিষয়ে ফেল করছেন। 

জানতে চাইলে কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞ ও বিডিজবস ডটকমের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ফাহিম মাসরুর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে পারছে না। এর প্রভাব যেমন তরুণদের মধ্যে পড়ছে; একই সঙ্গে কর্মসংস্থান, শিল্প, প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও পড়ছে। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, স্নাতক-স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েও অনেকে চাকরির বাজারে অদক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর জন্য যেমন সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা জরুরি।’ 

চাকরিপ্রত্যাশীরা অবশ্য বলছেন, সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর হওয়ায় এবং বেসরকারি অধিকাংশ চাকরিতে অভিজ্ঞতা চাওয়ায় স্নাতক শেষ করে তাদের দীর্ঘদিন বেকার থাকতে হচ্ছে অথবা অতি স্বল্প বেতনে চাকরি করতে হচ্ছে। 

দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন বুশরা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরির পদ সংখ্যা খুবই সীমিত। বিসিএস থেকে প্রায় প্রতিটি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতেও দুই-তিন বছর লেগে যায়। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভালো সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে প্রায় সবাই অভিজ্ঞতা চায়, সেখানে আমাদের মতো ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা সুযোগ পায় না। এ কারণে হয় প্রথম কয়েক বছর বেকার থাকতে হয় অথবা নামমাত্র বেতনে চাকরি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়।’

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রতি বছর যে পরিমাণ নিয়োগের সুপারিশ করা হয় উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের বিপরীতে সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। বর্তমানে সরকারি চাকরির বেশির ভাগ নিয়োগ হয় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে। সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গত তিন বছরে মোট ৩৫ হাজার ৩৫৬ জনকে চাকরির সুপারিশ করেছে তারা। তাদের মধ্যে ২০২১ সালে ১৭ হাজার ৬৪৬ জন, ২০২২ সালে ৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং ২০২৩ সালে ১৩ হাজার ১১৫ জনের চাকরির সুপারিশ করেছে পিএসসি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থানের জন্য সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো–এখানে জনশক্তি প্রস্তুতের জন্য কোনো ধরনের পরিকল্পনা নেই, শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। চাকরি বলতে সাধারণ চাকরির সুযোগকে বোঝানো হয় এখানে। অথচ শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত যথাযথ কর্মসংস্থান। এর জন্য ভোকেশনাল, টেকনিক্যাল, সামাজিক ব্যবসা, উদ্যোক্তা তৈরি, প্রযুক্তিগত কর্মসংস্থান প্রস্তুত করা। এসব না করলে আগামীতে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে। এখন আমাদের নতুন দেশ, নতুন আশা তৈরি হয়েছে, নতুন পরিকল্পনা ও সম্ভাবনার মাধ্যমে তরুণদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন