রাজবাড়ীতে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর পাংশায় মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করেছেন কৃষক রফিকুল ইসলাম ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

পুরনো পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক মালচিং বা মাচা পদ্ধতিতে সবজি আবাদ হচ্ছে রাজবাড়ীতে। পদ্ধতিতে ফলন সবজির মান ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা দাম দুটোই বেশি। কারণে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি বিভাগ বলছে, মালচিং পদ্ধতিতে আনুপাতিক হারে খরচ কম। তাই পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষককে দেয়া হচ্ছে পরামর্শ প্রণোদনা।

জেলার পাংশা উপজেলার কলিমহড় ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম মালচিং পদ্ধতিতে ৪৫ শতাংশ জমিতে উন্নত জাতের করলা চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে দুই সপ্তাহে ৭৫ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আরো অন্তত লাখ টাকার করলা বিক্রি হবে বলে দাবি করেছেন কৃষক।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একসময় অঞ্চলে পুরনো পদ্ধতিতে কৃষিকাজ হলেও এখন লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। গত বছরগুলোয় আখ পাট চাষ হলেও বেশি লাভের কারণে কৃষক সবজি চাষে ঝুঁকছেন। মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে লোকসানের আশঙ্কা তেমন থাকে না। লাভ হয় কয়েক গুণ বেশি। এমনকি সবজির মান ভালো থাকায় বাজারে চাহিদাও থাকে বেশ।

একই গ্রামের কৃষক শামীম বলেন, ‘সার কীটনাশকসহ শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় কৃষক ফসল ফলিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। সরকারিভাবে যে প্রণোদনা দেয়া হয়, তা চাহিদার তুলনায় কম। তাই আগামীতে প্রণোদনা বাড়ানো হলে, বিনামূল্যে সার বীজ দেয়া অব্যাহত থাকলে ফসল উৎপাদন বাড়বে। বিদেশ থেকে কোনো খাদ্যদ্রব্য আমদানি করতে হবে না।

রফিকুল ইসলামের মালচিং বা মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষ সাড়া ফেলেছে পাংশা উপজেলাজুড়ে। প্রতিদিনই তার সবজি দেখতে পরামর্শ নিতে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন কৃষকেরা।

প্রসঙ্গে পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কৃষক যাতে অল্প খরচে বেশি লাভবান হতে পারেন, এজন্য আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। আগামীতে পাংশার সবজি অন্য জেলায় সরবরাহ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন