অপূর্বর গল্পে দুই নাটক, সঙ্গে তটিনী

ফিচার প্রতিবেদক

ছবি: তালহা মোস্তফা

বাংলাদেশের টিভি নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তার গল্পে এর আগেও বেশকিছু নাটক নির্মিত হয়েছে। সেসব নাটক দর্শকের মধ্যে ভীষণ ভালো লাগারও সৃষ্টি করেছে। অপূর্বর গল্পে প্রথম নাটক নির্মাণ করেন চয়নিকা চৌধুরী। নাটকের নাম ছিলো ‘স্বপ্নের নীল পরী’। এতে অভিনয় করেছিলেন অপূর্ব, তিন্নী ও হিল্লোল।

২০০৭ সালে এনটিভিতে ভালোবাসা দিবসে প্রচার হয়েছিল। এর পরও তার গল্পে ‘এক টুকরো নীল’, ‘ভালোবাসার শুরু’ ‘প্রোডাকশন নাম্বার এইট’সহ বেশকিছু নাটক নির্মিত হয়।

আবারো অপূর্বর গল্পে দুটি নাটক নির্মিত হলো। নির্মাণ করেছেন এ প্রজন্মের মেধাবী পরিচালক রুবেল হাসান। দুটি নাটকেরই চিত্রনাট্য করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন। একটির নাম ‘অ্যাবসেন্ট মাইন্ড’, এটি প্রচার হবে ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্টেও অন্য নাটকের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি, এটি প্রচার হবে এসবিই ইউটিউব চ্যানেলে।

১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে মাঝে একদিন বিরতি দিয়ে গত দুদিন গাজীপুরের পুবাইলের একটি রিসোর্টে শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে দুটির নাটক কাজ শেষ করেছেন অপূর্ব ও তটিনী। এক বছরের বেশি সময় আগে রুবেল হাসানের পরিচালনায়ই অপূর্বর সঙ্গে বহিরাগত নাটকে অভিনয় করেছিলেন তটিনী। একই পরিচালকের পরিচালনায় এরপর অপূর্ব ও তটিনী একসঙ্গে দুটি নাটকের কাজ করলেন। তবে অপূর্ব ও তটিনী অভিনীত সর্বশেষ আলোচিত নাটক ছিল জাকারিয়া সৌখিনের ‘পথে হলো দেরী’। অপূর্ব বলেন, ‘‌দুটি নাটকের গল্পই দর্শকের ভালো লাগার কথা মাথায় রেখে লেখা। দুটি কাজই ভালো হওয়ার জন্য রুবেল, সিনেমাটোগ্রাফার কামরুল ইসলাম শুভসহ পুরো ইউনিট অনেক শ্রম দিয়েছে। আমার শতভাগ চেষ্টা তো থাকেই সবসময়। তটিনী আগের চেয়ে অনেক ইমপ্রুভ করেছে, সেটা বুঝাই যাচ্ছে। দুটি কাজ নিয়েই আশাবাদী আমি। তটিনী বলেন, ‘অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে অনেক দিন পর কাজ হওয়ায় একটু নার্ভাস ছিলাম। ভাইয়া এমন একজন অভিনেতা, যার সঙ্গে আমাদের জেনারেশনের শিল্পীদের কাজ করতে পারাটা পরম ভালো লাগার। তিনি ভীষণ সহযোগিতাপরায়ণ। তার সঙ্গে অভিনয় করলে অভিনয়ে স্কুলিংটা খুব ভালো হয়। এ দুই নাটকে অভিনয় করেও আমি অভিনয়ে নতুন আরো অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এটাই অনেক বড় বিষয়। আর রুবেল ভাই এমন একজন পরিচালক, যিনি এডিটিংয়ের ওপর ভরসা করে নাটক নির্মাণ করেন না। প্রতিটি দৃশ্যধারণের ক্ষেত্রে তার প্রস্তুতি থাকে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন