বিএএফএফএ ও ইপিবির বৈঠক

কার্গো হ্যান্ডলিং নিশ্চিত করতে হবে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

বিমানযোগে রফতানি কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য সিলেট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং সুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। গতকাল ইপিবির সম্মেলন কক্ষে ফ্রেইট ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএফএফএ) একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে বিষয়ে আলোচনা হয়। সময় বিএএফএফএর সভাপতি কবির আহমদসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান বিদেশী এয়ারলাইনসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় এয়ার ট্রান্সপোর্টকে লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপখাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রফতানি বাণিজ্যকে সহজীকরণের স্বার্থে বিমানবন্দরে বিদ্যমান সমস্যা যেমন এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস), ওয়্যারহাউজের স্পেস সংকট, অনিয়ন্ত্রিত স্পট প্রাইস এবং বিমানবন্দরের অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়। এছাড়া থার্ড টার্মিনালে কার্গো ভিলেজ, কুল চেইন ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অপ্রতুলতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিমানযোগে রফতানি কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি অন্যান্য দায়িত্ব যেমন এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন মেশিন (ইডিএম) এবং ওয়্যারহাউজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বাংলাদেশ বিমানকে প্রদান করা হলে বিমান পরিবহন কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে বলে দাবি করা হয়।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ কার্গো বিমানে পণ্য পাঠানোর সময় হয়রানির শিকার হতে হয়। কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা, দুর্নীতি-লুটপাট দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির গ্রেড উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দক্ষ জনবল ছাড়াই কার্গো শাখার কাজ পরিচালনা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। অনিয়মের কারণে এয়ার কার্গো সিকিউরিটি এসিসি- আরএ- সনদ বন্ধ করে দেয়ার নজিরও রয়েছে।

রফতানিকারকরা বলছেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে বিলম্ব এবং অত্যধিক হ্যান্ডলিং ব্যয়ের কারণে দেশের রফতানি প্রতিযোগিতাকে হ্রাস করছে এবং প্রতিবেশী ভারতকে উপকৃত করছে। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা অভিযোগ করেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের চারটি কার্গো স্ক্যানারের মধ্যে মাত্র দুটি সচল থাকে। এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্গো হ্যান্ডলিং আরো মসৃণ করা এবং সেজন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসার দাবি জানান তারা। এসব সমস্যা সমাধান করা গেলে প্রতিবেশী দেশ হয়ে কার্গো পাঠানোর প্রয়োজন হবে না বলেও মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত, এয়ার কার্গো সহজলভ্য করার দাবি জানিয়ে এফবিসিসিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রফতানি বাড়াতে বিমান ভাড়া, কার্গো প্রাপ্তি, কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি উপযুক্ত পলিসি এবং নির্ভুল তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিমানবন্দরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনসহ কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিমানের ভাড়া বা ফ্রেইট কস্ট যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন