কানাডায় গম উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

কানাডায় চলতি বছর ৩ কোটি ৪৩ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিসটিকস কানাডার এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম।

স্ট্যাটিসটিকস কানাডা ও এগ্রিকালচার অ্যান্ড এগ্রি-ফুড কানাডা যৌথভাবে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাথমিক ফলন ও উৎপাদনের পূর্বাভাস প্রস্তুত করেছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ফিল্ড ক্রপ রিপোর্টিং সিরিজ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস উঠে আসে।

কানাডা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গম, ক্যানোলা, বার্লি এবং ওটস রফতানিকারক দেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে দেশটিতে গম, ওটস ও সয়াবিন উৎপাদন বাড়তে পারে। কিন্তু ২০২৩ সালের তুলনায় ক্যানোলা, ভুট্টা ও বার্লি উৎপাদন কম হতে পারে।

স্ট্যাটিসটিকস কানাডা জানিয়েছে, দেশটির”প্রেইরি অঞ্চলের কিছু অংশে কম বৃষ্টিপাত এবং দীর্ঘমেয়াদি তাপমাত্রার কারণে মৌসুমের শুরু থেকেই ফসলের অবস্থার অবনতি হয়েছে। যদিও কিছু এলাকায় আগের বছরের তুলনায় অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল।

প্রতিবেদনে গম উৎপাদন বাড়ার মূল কারণ হিসেবে বেশি ফলনের কথা বলা হয়েছে। চলতি বছর প্রতি একরে গমের ফলন ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৪৮ দশমিক ৪ বুশেল হতে পারে। যদিও ফসল আহরণের জমির পরিমাণ ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ২ কোটি ৬০ লাখ একরে দাঁড়াতে পারে।

প্রতিবেদনে এ বছর বার্লি উৎপাদন ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৭৬ লাখ টনে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এ সময় বার্লির ফলন দশমিক ৩ শতাংশ কমে একরপ্রতি ৬১ বুশেল এবং ফসল আহরণের জমি ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৫৭ লাখ একরে নেমে আসবে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। 

একই সময়ে ওটস উৎপাদন ১৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৩০ লাখ টনে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি একরে এর ফলন হতে পারে ৮৩ দশমিক ৬ বুশেল। এছাড়া ভুট্টা উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১ কোটি ৫২ লাখ টনে দাঁড়াবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে সয়াবিন উৎপাদন ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৭২ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন