নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের তুলনায় তিন গুণ ব্যয় কমলা হ্যারিসের

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় আগস্টে প্রায় তিন গুণ অর্থ ব্যয় করেছেন। ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে জমা দেয়া আর্থিক বিবরণীতে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স। 

২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, গত আগস্টে হ্যারিস তার প্রচারণায় ১৭৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। বিপরীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারণায় ৬১ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। এ সময় হ্যারিস টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানোর সুবিধা পেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচার ব্যয়ের পরিমাণ নির্বাচনী ফলাফল নিশ্চিত করে না। আগামী ৫ নভেম্বর এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন জরিপেও দেখা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। কমলা জুলাইয়ে তার প্রচারণা শুরু করেন। ওই সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পুনর্নির্বাচনের প্রচেষ্টা থেকে সরে আসেন এবং এ প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য হ্যারিসকে সমর্থন জানান। 

২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারি ক্লিনটনের তুলনায় কম অর্থ ব্যয় করেও বিজয়ী হয়েছিলেন। বিভিন্ন জরিপে হ্যারিস কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, মূলত ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোয়ই চূড়ান্ত লড়াই হবে। এ রাজ্যগুলোয় দুই প্রার্থীই সমান জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন, যা নির্বাচনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

হ্যারিস ও ট্রাম্প উভয়ের প্রচারণায় আগস্টে বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় হয়েছে বিজ্ঞাপনের পেছনে। এছাড়া মিছিল, ভ্রমণ ও প্রচার কর্মীদের বেতন দেয়ার জন্যও কিছু অর্থ ব্যয় হয়েছে। হ্যারিসের প্রচারণা দল ডেট্রয়েট ইউনিটি ফান্ডে ৭৫ হাজার ডলার অনুদান দেয়, যা মিশিগানের কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে কাজ করে। মিশিগান এবারের নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য। অর্থ সংগ্রহের দিক থেকেও হ্যারিস এগিয়ে রয়েছেন। আগস্টের শেষে হ্যারিসের প্রচার তহবিলে ছিল ২৩৫ মিলিয়ন ডলার, যা মাসের শুরুতে থাকা অর্থের তুলনায় বেশি। অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রচার তহবিলে মাস শেষে অবশিষ্ট ছিল ১৩৫ মিলিয়ন ডলার।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয়ের দিক থেকে হ্যারিস এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ভর করবে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোর ভোটের ওপর। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি বিল সর্বসম্মতভাবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। ‘এনহ্যান্সড প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নামে এ বিল এখন সিনেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে দুবার হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। এর পর থেকেই তার নিরাপত্তার ইস্যুটি সামনে চলে আসে। এবার প্রতিনিধি পরিষদে দুই দলই তার নিরাপত্তার ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন