বিএসএইচআরএমের গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: বিজ্ঞপ্তি থেকে

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (বিএসএইচআরএম) উদ্যোগে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএইচআরএমের প্রেসিডেন্ট মো. মাশেকুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি বিএসএইচআরএমের প্রতিষ্ঠা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এবং সবাইকে স্বাগত জানান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট মো. মাশেকুর রাহমান খান। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বিশেষ করে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ যারা বর্তমান সংকটময় সময়ে দেশের পুনর্গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা দেশের সব সম্পদের চালিকাশক্তি হচ্ছে মানবসম্পদ। আমাদের ১৮ কোটি জনসংখ্যার বিশেষত ৪৫ শতাংশ তরুণ জনগোষ্ঠীকে যদি প্রকৃত অর্থে কেবল পুঁথিগত বিদ্যা নয়, কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে পারি, তাহলে আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব এবং বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে।

মানবসম্পদ উন্নয়নে বিএসএইচআরএমের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে তিনি কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

১. বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো একটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা। ২. জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের সঙ্গে বিএসএইচআরএমসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করা। ৩. কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কার্যকর সংযোগ স্থাপন। ৪. জরুরি ভিত্তিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা ধ্বংস করা শিক্ষাব্যবস্থাকে টেকসই, জনবান্ধব এবং মেধাভিত্তিক করতে একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করা এবং একজন অভিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদকে দায়িত্ব প্রদান। ৫. বিদেশী দূতাবাসগুলোতে মানবসম্পদ পেশাজীবী নিয়োগ করা। ৬. সরকার কর্তৃক বিএসএইচআরএমের গ্লোবাল কানেক্টিভিটি কাজে লাগানো।

বিএসএইচআরএমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুত্তাকিন হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জি এম শরীফ, ড. কামাল উদ্দিন জসীম, হুমায়রা শারমীন ও মাহবুবুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মো. আব্দুর রাজ্জাক।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা উল্লেখ করেন, দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি হলো মানবসম্পদ। দেশে যত রকম বস্তুসম্পদ ও সম্ভাবনা থাকুক না কেন, মানুষ যদি এ সম্পদ আহরণ ও উপযোগী করে তুলতে না পারে, তবে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানবসম্পদ উন্নয়নে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে। শিক্ষার মান বাড়ানো, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি। বক্তারা উল্লেখ করেন, নতুন প্রজন্মের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও অভিজ্ঞতা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে সহায়ক হবে।

বিএসএইচআরএমের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট মানবসম্পদ পেশাজীবীরা সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। —বিজ্ঞপ্তি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন