সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা

এলএনজি টার্মিনাল চালু না করলে আর্থিক ক্ষতি হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

( ফাইল ছবি)

তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ রয়েছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী এলএনজি আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টার্মিনালটি চালু করতে না পারলে কোম্পানিটিকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি গতকাল সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সভা শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রাধিকার হলো সার ও জ্বালানি। আজকে আমরা সার কেনার বিষয়টি অনুমোদন করেছি। একটি কাফকো থেকে আসবে, আরেকটি বিদেশ থেকে আসবে। দ্রুতই এগুলো আসবে। আমরা এলএনজি আনার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বহুদিন ধরে শুনছি, একটি প্রাইভেট কোম্পানি আছে, জাহাজ নষ্ট হয়ে গেছে, বহু কিছু করছে। আমরা মসুর ডাল কেনার উদ্যোগ নিয়েছি। মানুষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় যে জিনিস সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।’

এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বাছাই কীভাবে করা হয়েছে? জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেছি, ভালোভাবে সিলেক্ট করেছে। দর নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।’ অতীতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো কোম্পানির সঙ্গে কারো যোগসাজশ রয়েছে কিনা, সেটি দেখবে। এখন আমাদের দ্রুত আমদানির উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। তাই যতটুকু সম্ভব করছি। এখন প্রশ্ন করতে গিয়ে, নিষ্পত্তি করতে গিয়ে এলএনজিও পাব না, অন্য কিছুও পাব না। তাই আমরা জ্বালানি নিশ্চিত করছি। এখন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যৌক্তিক মূল্য দেখে এলএনজি আমদানি করা হবে।’

এলএনজি টার্মিনাল কবে নাগাদ চালু হতে পারে? জানতে চাইলে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টার্মিনাল অতি দ্রুত চালুর বিষয়ে জ্বালানি বিভাগ থেকে এরই মধ্যে বলা হয়েছে। চালু না করলে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’

গতকাল অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভায় দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে জি টু জি চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। গ্যাসের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পেট্রোবাংলার সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরকারী ২৩টি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা’ ২০০৮-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন