নরসিংদীতে সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত, আহত শতাধিক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নরসিংদী জেলা

ফাইল ছবি

নরসিংদীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে তাহমিদ ভুইয়া (১৫) ও ইমন (১৮) নামে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৪টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভেলানগর-জেলখানা মোড় এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত তাহমিদ ভুইয়া (১৫) নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর নন্দীপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও এনকেএম হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও ইমন (১৮) পলাশ উপজেলার দড়িপাড়া এলাকার কাইয়ুম ওরফে কালাচাঁন মিয়ার ছেলে। ইমন চলতি বছর শিবপুরের কারারচর মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাস করেন।

নরসিংদীর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে আনার পর তাহমিদ ভুইয়া (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান। অপরদিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়ার পর ইমন নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাশার। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল তিনটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর জেলখানা মোড় এলাকায় কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জমায়েত হতে থাকেন। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, টিয়ারশেল ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে তাহমিদের বুক ঝাঝড়া হয়ে যায়। তখন সহপাঠিরা তাকে দ্রুত নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়। এরপর তার মরদেহ নিয়ে মহাসড়কে পুনরায় অবস্থান করে ছাত্রজনতা বিক্ষোভ মিছিল করে। এছাড়া পুলিশের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে প্রায় শতাধিক ছাত্র জনতা আহত হয়। এদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল, সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদী জেলখানা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন