ছবি : বণিক বার্তা কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। রোববার (৭ জুলাই) বেলা ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা কোটা প্রথার পুরোপুরি বিলুপ্তি না করে বৈষম্যমূলক মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করার পাশাপাশি নারী, প্রতিবন্ধী, অনুন্নত জনপদ, অনগ্রসর জাতিসত্তা ও বঞ্চিত শ্রেণীর জন্য যৌক্তিক মাত্রায় কোটা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জোটের নেতারা বলেন, ৫ জুন হাইকোর্টের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে আবারও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা চালু হওয়ায় সারাদেশের ছাত্রসমাজ আন্দোলনে নেমেছে। এরই মধ্যে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে লাগাতার আন্দোলন চলছে। রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লড়াকু অবস্থানের প্রতি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট একাত্মতা পোষণ করছে। একই সঙ্গে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে সচেতন ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
নেতারা বলেন, বৈষম্যমূলক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য, আপাত অর্থে সমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কোটা প্রথার প্রচলন। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে দীর্ঘকাল অস্বাভাবিক মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর প্রাপ্য কোটা বাতিলের মধ্য দিয়েও সামাজিক বৈষম্য প্রকট হবে। তাই অনুন্নত জনপদ, অনগ্রসর জাতিসত্তা ও বঞ্চিত শ্রেণীর (কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর ইত্যাদি) সন্তানদের জন্য যৌক্তিক মাত্রায় কোটা সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সফলতা আদায় করতে হবে। কোটা বাতিল কোনভাবেই সমাধান নয় প্রয়োজন কোটার যৌক্তিক সংস্কার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা,
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তওফিকা প্রিয়া।
