![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_388013_1.jpg?t=1719354755)
উচ্চমধ্যবিত্ত
ও মধ্যবিত্তরাও এখন অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা, তারাও কোরবানি করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছে
বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১৬ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আনন্দঘন
ঈদে মানুষের মনে সুখ নেই, আনন্দ নেই। মানুষের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে এই লুটেরা সরকার। মানুষের
ঘরে খাবার নেই। উচ্চমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও এখন অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা, তারাও কোরবানি
করার সামর্থ হারিয়ে ফেলেছে। কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা কম, যারা আছেন বেশিরভাগ সরকারি
দলের লুটেরা, অবৈধ অর্থের মালিক।
শেয়ার বাজার থেকে
কাঁচা বাজার পর্যন্ত সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই
চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শেয়ার বাজার থেকে আরম্ভ করে পাড়া মহল্লার কাঁচা বাজার
পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরেই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অসহায় সাধারণ জনগণ।
আর্থিক খাতের সমলোচনা রিজভী বলেন, দেশের সবকয়টি ব্যাংক এখন প্রায় দেউলিয়া। শুধু ডলার সংকটই নয়, ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এমনকি ঈদের সময়েও ব্যাংকে গিয়ে গ্রাহকরা চাহিদামতো নগদ পাঁচ হাজার টাকাও তুলতে পারছেন না। ডলার সংকটের কারণে ব্যাবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা বিদেশ যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে
অনিরাপদ করে তোলা হয়েছে। ব্যাংকের লকার থেকে গায়েব করে দেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের শত শত
ভরি স্বর্ণ। এমনকি গ্রাহকদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকার ভল্টও এখন নিরাপদ নয়। রফতানি বাণিজ্যে
চরম হতাশা। বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য বৈষম্য বেড়েই চলছে। বর্তমানে দেশ সম্পূর্ণ আমদানি
নির্ভর। দেশী-বিদেশী ঋণের ভারে জর্জরিত। এই হলো দেশের আর্থিক পরিস্থিতি।
রিজভী বলেন, দেশের
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চরম অরাজকতা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাফিয়া
সরকার এখন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিভিন্ন দেশে ঘুরছে।