![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_387273_1.jpg?t=1722037246)
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, ‘সৎভাবে আয় করে একজনকে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে আর কালোবাজারি, অবৈধ টাকা, যার উৎস খোঁজা হবে না, সে দেবে ১৫ শতাংশ। এটা হতে পারে না। আমি একজন সংসদ সদস্য, এ রকম তুঘলকি কাণ্ডের ওপর সমর্থন জানানোর জন্য জনগণ আমাদের ম্যান্ডেট দেয়নি। এটা বাতিলের জন্য ব্যক্তিগতভাবে সংসদে তুলব।’ সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব আয়োজিত ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ কে আজাদ বলেন, ‘৩৮ লাখ টাকার বেশি আয় হলে এতদিন ২৫ শতাংশ কর দিতে হতো। এবার দিতে হবে ৩০ শতাংশ। ঠিক আছে আমি দেব। আর ব্যাংক থেকে যিনি বিনিয়োগ করার জন্য, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য ঋণ নিলেন; তবে সে টাকা ব্যবসায় না খাটিয়ে বিদেশে নিয়ে কানাডা, মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনলেন। এখন তিনি যদি টাকা ফেরত আনেন তাকে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ। কোনোভাবেই এটা হতে পারে না।’
ফরিদপুরের এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। ওই কৃষক ঠিকমতো খাজনা দেন। অথচ উৎপাদিত ফসল বাজারে নেয়ার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টাকা আদায় করে। বাজারে বিক্রির সময় আবার খাজনা দিতে হয়। তিনি কোনো মাফা পান না। মাফ পান যিনি এনবিআর চেয়ারম্যানকে রিচ করতে পারছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে যিনি শোধ করেন না।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন ব্যয়ের চেয়ে পরিচালন ব্যয় বেশি। তাহলে দেশে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে? বাজেটে রাজস্ব আয়ের একটি উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে আগামী বাজেটে এলইডি লাইট, মোটরসাইকেলের ওপর, নিত্য ব্যবহৃত জিনিসের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। মাঝেমধ্যে দেখা যায় দুই বাচ্চা, স্ত্রীসহ চারজনে এক মোটরসাইকেলে চড়েন। সেখানে কর বাড়ানো হলো। আবার ইউএনও, এসি ল্যান্ডদের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে তাকালে দেখা যাবে তারা নিজেদের দেশের উৎপাদিত গাড়ি ব্যবহার করে। আবার কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা গাড়ি পাবেন তা নির্ধারণ করা আছে। যেখানে রাজস্ব ঘাটতি, ব্যাংক ঋণ নিতে হচ্ছে সেখানে কেন সরকারের এত পরিচালন ব্যয় করতে হবে? এটা কমানো উচিত।’