গাজায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও চার শতাধিক মানুষ। শনিবার চার জিম্মিকে উদ্ধার করতে গিয়ে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এ হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর রয়টার্স।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানে শিশুসহ কয়েকডজন মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হিমিশিম খাচ্ছেন আল-আকসা এবং নাসের হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা। তাছাড়া হতাহত শিশুদের ছবিও প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি সংগীত উৎসবে হামলা চালিয়ে ২২১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের মধ্যে ৪০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইডিএফ। হামাসের হাতে এখনো জিম্মি রয়েছে ১১৬ জন। হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৮০১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৮৩ হাজার ৬৮০ ফিলিস্তিনি।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চল থেকে চার ইসরায়েলি জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী শনিবার (৮ জুন) জানায়, এ অঞ্চলের নুসেইরাত এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, আল-নুসেইরাতের একটি আবাসিক এলাকার কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালানো হয়। সেখানে হামাস জিম্মিদের দুটি পৃথক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে রেখেছিল।বন্দিদের গাজার বেসামরিকদের মাঝে লুকিয়ে রেখেছিল হামাস । তবে তাদের পাহারায় ছিল সশস্ত্র রক্ষী।
তিনি আরো জানান, হামাসের যোদ্ধাদের গুলির জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ করে, বিমান হামলাও চালায়। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, এ অভিযান চলাকালে ইসরায়েলের স্পেশাল ফোর্সের এক কমান্ডার নিহত হন।
অভিযানে উদ্ধার পাওয়া জিম্মিরা হলেন, নোয়া আরগামানি (২৬), আলমোগ মেইর জান (২২), আন্দ্রে কোজলোভ (২৭) ও স্লোমি জিভ (৪১) । এদের মধ্যে নোয়া আরগামানি নারী ও বাকি তিনজন পুরুষ।