জমকালো আয়োজনে ঢাকা শুরু
হয়েছে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। আজ রোববার প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল
হাসান পাপন, এমপি।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ
করছে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া এই তিন মহাদেশের মোট ১২টি দল। ইউরোপ মহাদেশ থেকে পোল্যান্ড,
আফ্রিকা মহাদেশ থেকে কেনিয়া ও উগান্ডা এবং এশিয়া মহাদেশ থেকে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া,
ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলংকা ও স্বাগতিক বাংলাদেশ অংশগ্রহণ
করছে। এর মধ্যে সবশেষ দুই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড।
প্রথমবারের মতো এ টুর্নামেন্টে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও উগান্ডা অংশগ্রহণ করছে।
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক
কাবাডি আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট
আয়োজন করা খুবই কঠিন। পর পর চার বছর বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক
কাবাডি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ফেডারেশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ
সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। একটা/ দুটো নয়, ১২টা দেশ এবার অংশ নিচ্ছে এটা কিন্তু
সহজ কথা নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘কাবাডি
ফেডারেশন যেভাবে খেলাটাকে চালাচ্ছে, আমি আমার মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ওনাদের
করব। আমরা একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছি। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় কাবাডি রয়েছে। ফেডারেশনের
দিক দিয়ে বললাম। আরেক দিক দিয়ে এটা আমাদের জাতীয় খেলা। এই খেলায় আমাদের ভালো করতেই
হবে। কাবাডিকে আমাদের গ্রাসরুট লেভেল থেকে শুরু করতে গেলে সবার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
থেকে শুরু করতে হবে। নতুন নতুন খেলোয়াড় বের হয়ে আসার ক্ষেত্রে এটা ভালো পদক্ষেপ হবে।
এ বিষয়ে আমি গতকালই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এক সঙ্গে বসে কাবাডিকে এগিয়ে
নিতে চাই।’
কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয়
খেলা। আন্তর্জাতিক আসর থেকে অনেক পদক পাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে লাল-সবুজদের। তবে এশিয়ান
পর্যায়েই নয়, বিশ্বকাপেও চোখ রাখছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের
টার্গেট হচ্ছে বিশ্বকাপ। কাবাডি যেহেতু আমাদের জাতীয় খেলা, এটাকে যদি আমরা ঠিকঠাক পরিচালনা
করতে পারি, ঠিকমতো পরিকল্পনা করে এগুতে পারি, তবে কাবাডিতে বাংলাদেশ অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে
ভালো রেজাল্ট করবে।’
দেশব্যাপী কাবাডিকে ছড়িয়ে
দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করে কাজ করার কথা বলেছেন নাজমুল হাসান। তৃণমূলে
খেলাটিকে ছড়িয়ে দিতে, খেলোয়াড় বের করে আনতে পরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথাও বলেছেন। এ ব্যাপারে
তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাব নিয়ে ভাবছি না। আরো নিচের দিকে যেতে চাই। আমি চাই স্কুল পর্যায়
থেকে খেলোয়াড় বের হয়ে আসুক। স্কুলেই যদি আমরা কাবাডি প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারি প্রতি
বছর, কলেজে করতে পারি, বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে পারি। এতে করে আমরা আরো অনেক বেশি খেলোয়াড়
পাবো। আমাদের প্রথম কাজই হচ্ছে দেশব্যাপী কাবাডিকে ছড়িয়ে দেয়া।’