আইসিজের নির্দেশ মানছে না ইসরায়েল, রাফাহ শহরে হামলা জোরদার

বণিক বার্তা অনলাইন

আলজাজিরায় প্রকাশিত ছবি।

ইসরায়েলকে অবিলম্বে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফা শহরের সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। একই সঙ্গে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করতে উপত্যকাটির দক্ষিণের রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে আইসিজের আদেশ উপেক্ষা করে রাফাহ শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আলজাজিরার খবর বলছে, শুক্রবার আইসিজে অবিলম্বে হামলা বন্ধের আদেশ দেয়ার পর শনিবার (২৫ মে) থেকেই সেখানে হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে ইসরাইল, এমন অভিযোগের অংশ হিসেবে সপ্তাহখানেক আগে রাফাহ শহরে হামলার বিষয়টি আইসিজের সামনে আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩-২ ভোটে ১৫ জন বিচারকের প্যানেলে আদেশটি গৃহীত হয়। ওই আবেদনে রাফায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে আদালতের কাছে আরজি জানানো হয়। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালতের আদেশ মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে সদস্য দেশগুলোর।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম বলেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে সামরিক আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে রাফায় যেকোনো পদক্ষেপ ফিলিস্তিনিদের সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করতে পারে।

আইসিজের আদেশ সত্ত্বেও শনিবার সকালে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, রাফাহ ছাড়াও দেইল আল-বালাহ শহর, গাজা শহর, জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরসহ ফিলিস্তিনের অন্য এলাকায় হামলা করছে।

জাতিসংঘের জরুরি সহায়তা প্রধান বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বর্ণনাতীত এক দুঃখগাথা। অবশ্যই এই দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটাতে হবে।

গত অক্টোবরে ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলার মুখে গাজা থেকে পালিয়ে লাখ লাখ বাসিন্দা রাফায় আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, স্থল আক্রমণের কারণে আট লাখের বেশি মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। জিম্মি করে নিয়ে যায় ২৫০ জনের মতো ইসরায়েলিকে। ওই ঘটনার পর গাজায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে আইডিএফ। তখন থেকে প্রায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন লাখখানেক মানুষ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন