আল-আকসার ঈদ জামাতে অংশ নেন ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: রয়টার্স

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি গতকাল ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছিলেন। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ। খবর আনাদোলু।

বিবৃতিতে বলা হয়, আল-আকসা প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে বাধা দেয় ইসরায়েলি সেনারা। তা সত্ত্বেও রোববার (১৬ জুন) ঈদুল আজহার প্রথম দিনে সেখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ঈদ জামাতে অংশ নেন।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলছে, দখলদার বাহিনী রোববার সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় মুসুল্লিদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অনেক মানুষকে ঈদের নামাজের জন্য প্রবেশে বাধা দেয়।

আরো বলা হচ্ছে, রোববার সকালে ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। তারা এ সময় মুসুল্লিদের পরিচয়পত্র দেখে ও চলাচলে বাধা দেয়। প্রবেশে বাধা দেয়ায় অনেক যুবক মসজিদের বাইরে নামাজ পড়তে বাধ্য হয়।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দক্ষিণ অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।

হেবরন এনডাউমেন্টস বিভাগের প্রধান ঘাসন আল-রাজাবি জানান, প্রবেশে বাধা সত্ত্বেও ৮-১০ হাজার ফিলিস্তিনি ইব্রাহিমি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।

মসজিদে প্রবেশে বাধা ছাড়াও পশু কোরবানি থেকে ফিলিস্তিনিদের বঞ্চিত করা অভিযোগ উঠেছে। গাজার মিডিয়া অফিস জানায়, পশু প্রবেশের ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে উপত্যকার কয়েক হাজার পরিবার কোরবানি দিতে পারেন।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, দখলদার বাহিনী একটি নতুন অপরাধ করেছে। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখল ও বন্ধসহ গাজা উপত্যকার সব ক্রসিং বন্ধ করে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা দিয়েছে।

এ নিষেধাজ্ঞাকে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা বলে অভিহিত করা হয় বিবৃতিতে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় ৩৭ হাজার ৩০০ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ সময় আহত হয়েছেন ৮৫ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান এ আক্রমণে গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন