শক্তি ও গতিকে মূর্ত করে ‘ইনার স্পিড’

ফিচার প্রতিবেদক

ছবি: আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হয়েছে শিল্পী মো. জিয়াউর রহমানের দ্বিতীয় একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘ইনার স্পিড’। প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয় ২৪ মে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, শিল্পী রণজিৎ দাস, লেখক ও গবেষক মফিদুল হক, সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট নাহিদ মাহতাব ও মঈন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মুনতাসির মঈন।

শিল্পী মো. জিয়াউর রহমানের বেড়ে ওঠা শীতলক্ষা নদী ও নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের ধারে। মানুষ ও প্রকৃতিকে বোঝা তার আজীবনের প্রচেষ্টা। জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে বড় প্রেরণার উৎস প্রকৃতি। তার শৈল্পিক উপলব্ধির মাধ্যমে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তিনি প্রকৃতি থেকে সব ধরনের উপাদান গ্রহণ করেন এবং তার চিত্রকলায় সেগুলোকে নান্দনিকতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলেন। নারায়ণগঞ্জ চারুকলা কলেজ থেকে এ শিল্পী অংকন ও চিত্রকলায় স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। 

ইনার স্পিড রূপান্তরের স্বপ্নকে জাগিয়ে তোলে। সমাজের বিভিন্ন দ্বন্দ্ব, ভালো ও মন্দকে প্রতিফলিত করে, যা গভীর চিন্তাভাবনাকে উসকে দেয়। অন্য সবার মতো জিয়াউর রহমানেরও এমন কিছু মুহূর্তের অভিজ্ঞতা হয়েছে যা ছাপ রেখে গেছে এবং তার কাজ এ মুহূর্তগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে। জলরঙ, তেল, কাঠকয়লা, অ্যাক্রিলিক, কালি ও তুলার মতো বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে তিনি তার শিল্পের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে তার বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করেন। 

জিয়াউর রহমান তার আবেগময় অভিব্যক্তিকে ঘোড়া ও ষাঁড়ের চিত্রের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত করেছেন। তাদের বৈচিত্র্যময় ভঙ্গি তার শৈল্পিক ধ্যানকে মুগ্ধ করে। ঘোড়া ও ষাঁড় জীবনের সারাংশের প্রতীক, এটি শক্তি ও গতিকে মূর্ত করে। এ শক্তিশালী প্রাণীদের প্রতি জিয়াউর রহমানের দৃষ্টি নিবদ্ধ করা তাদের জীবনীশক্তির আরো গভীর অনুসন্ধানের পরামর্শ দেয়। জিয়াউর রহমান ঘোড়াকে একটি অপরাজেয় আত্মার প্রতীক হিসেবে দেখেন। তিনি ঘোড়াটিকে প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তির মাধ্যমে নয় বরং এর সারাংশের মাধ্যমে একটি মুক্ত, শক্তিশালী সত্তা হিসেবে চিত্রিত করেছেন। 

এ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী চলবে আগামী ৪ জুন পর্যন্ত। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ রেখে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে এটি দেখা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন