এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন

দেশের বিভিন্ন স্থানে কমেছে গ্যাসের চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে জাতীয় গ্রিডে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ কমে গেছে। এর প্রভাবে গ্যাসের চাপ কমে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। পেট্রোবাংলার একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট এলএনজি সরবরাহ কমানো হয়েছে।

এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল রাতে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহে স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস সরবরাহের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৩ মে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ হয় ১ হাজার ৭৭ মিলিয়ন ঘনফুট। আর সব মিলিয়ে সরবরাহ হয় ৩ হাজার ৯৬ মিলিয়ন ঘনফুট। রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রিডে ঠিক কী পরিমাণ এলএনজি সরবরাহ কমেছে, সেটা জানায়নি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ কমে গিয়ে থাকলে জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সববরাহ আছে ৪০০ মিলিয়নের কাছাকাছি।

কক্সবাজারের মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আছে। জাহাজে করে এলএনজি কিনে আনার পর তা টার্মিনালের মাধ্যমে রিগ্যাসিফিকেশনের পর পাইপলাইনে করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। ফলে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকলে ভাসমান টার্মিনালের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে।

এর আগে গত বছরের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার একদিন আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। তাতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেলে সংকট দেখা দেয়। গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং শুরু হয় দেশজুড়ে। তখন সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন