দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

হিলি বাজারে গতকাল কাঁচামরিচের সরবরাহ ছিল আগের তুলনায় কম ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

সরবরাহ কমের অজুহাতে দেশের বাজারে বেড়েই চলেছে কাঁচামরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আরেক দফা দাম বেড়েছে পণ্যটির। পাইকারিতে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। তবে মরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল এক ট্রাকে ৯ হাজার ৮৪০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। ছয় মাস বন্ধের পর আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে মরিচের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন আমদানিকারকরা।

এদিকে এক সপ্তাহ আগেও হিলি বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন তা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগেও হিলি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ‘সরবরাহ ভালো থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই কাঁচামরিচের দাম কমতির দিকে ছিল। তবে দুই সপ্তাহ ধরেই দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। মাঝে কয়েকদিন চলা তাপপ্রবাহের কারণে দেশের অনেক এলাকায় মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক গাছের ফুল নষ্ট হয়ে ঝরে পড়ায় উৎপাদন কমেছে। মোকামগুলোয় চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কমার কারণেই দাম বাড়ছে। আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এজন্য বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে নতুন গাছে কাঁচামরিচ ধরতে শুরু করলে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে।’

আমদানিকারকরা বলছেন, তাপপ্রবাহের কারণে দেশীয় কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এজন্য সরবরাহ কমে গেছে। কয়েকদিন ধরেই মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মরিচের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। তাই দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) চেয়ে আবেদন করা হয়। গতকাল অনুমতি দিয়েছে সরকার। অনুমতি পাওয়ার পরই আমদানি শুরু হয়েছে।

আমদানিকারক আশা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘হিলি বন্দর দিয়ে পুনরায় ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। সাধারণত ভারতের বিহার থেকে মরিচ আমদানি করা হয়, কিন্তু গতকালই আমদানির অনুমতি দেয়ায় ভারতের ফুলবাড়ী অঞ্চল থেকে স্থানীয়ভাবে এক ট্রাক মরিচ আমদানি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিহারের মোকামগুলো থেকে আমদানি করা হবে। যে দামে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে, তাতে দেশের বাজারে মরিচের দাম ১০০ টাকার মধ্যে থাকবে। তবে আমদানিতে কেজিপ্রতি শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৫ টাকা। শুল্ক কিছুটা কমানো হলে মানুষ আরো কম দামে কাঁচামরিচ কিনতে পারবে।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন বন্ধের পর আমদানির অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হিলি স্থলবন্দরের ছয় আমদানিকারক ২ হাজার ৪০০ টন মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। আমদানি করা মরিচ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সনদ দেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন