![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_384870_1.jpg?t=1718905318)
ফিউচার মার্কেটে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম বেড়েছে। দেশটির মুদ্রা রিঙ্গিতের বিনিময় হার কমে যাওয়া এবং চাহিদা বাড়ার প্রত্যাশায় পণ্যটির বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে গতকাল পাম অয়েলের মূল্য বেড়েছে ২৯ রিঙ্গিত বা দশমিক ৭৫ শতাংশ। প্রতি টনের দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৯৭ রিঙ্গিতে (৮২৬ ডলার ৫১ সেন্ট)।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন, সূর্যমুখী ও অন্যান্য ভোজ্যতেলের তুলনায় পাম অয়েলের দাম কম থাকায় সম্প্রতি এটির চাহিদা বাড়ার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, যা পণ্যটির দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় পাম অয়েলের। বিপুল সরবরাহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য তেলের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে এর কদর বেশি। তবে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে পাম অয়েল উৎপাদন। ফলে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া এ ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। সিংহভাগ সরবরাহই আসে এ দুই দেশ থেকে।
চলতি বছর এ দুই দেশে পণ্যটির উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। উৎপাদন বাড়লেও সেটি হবে খুবই সামান্য। কারণ হিসেবে বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, দুই দেশে পাম ফলের বেশির ভাগ বাগানই অনেক পুরনো। নতুন বাগানও গড়ে উঠছে না। পুরনো বাগানগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা অনেকটাই ফুরিয়ে এসেছে।