যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

নেতানিয়াহু ও সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উদ্যোগ আইসিসির

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : সিএনএন

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের গাজাপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে চান আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও এর জবাবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিতে চায় আদালত। 

সোমবার (২০ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান।

সাক্ষাৎকারে করিম খান বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা– আল-কাসেম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম ওরফে মোহাম্মদ দেইফ ও গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ–এর বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে চাইছেন আইসিসি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি এ পরোয়ানা জারি করা হয় তাহলে তা হবে কোনো মার্কিন মিত্র দেশের শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে আইসিসির প্রথম পদক্ষেপ।

খবরে বলা হয়েছে, আইসিসির বিচারকদের একটি প্যানেল এখন করিম খানের গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন বিবেচনা করবে। খান বলেছেন, সিনওয়ার, হানিয়েহ ও মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ধ্বংসসাধন, হত্যা, জিম্মি করা, ধর্ষণ ও বন্দিদের যৌন নির্যাতন। 

সিএনএনকে খান বলেছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের কিব্বুতজিমের বিভিন্ন স্থানে মানুষদের তাদের বেডরুম, বাড়ি ও বিভিন্ন স্থান থেকে টেনেহিঁচড়ে নেয়া হয়েছে। যা বিশ্বকে হতবাক করেছিল। মানুষজন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

তিনি বলেছেন, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানো, যুদ্ধ কৌশল হিসেবে অনাহার সৃষ্টি, মানবিক ত্রাণ প্রবেশে বাধা ও সংঘাতে পরিকল্পিতভাবে বেসামরিকদের নিশানা করা।

আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে গত মাসে খবর প্রকাশের পর নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েলি সরকার ও সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির যেকোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা হবে একটি ঐতিহাসিক আক্রোশ। ইসরায়েলের স্বতন্ত্র বিচার ব্যবস্থা রয়েছে, তা যেকোনো আইন লঙ্ঘনের জোরালো তদন্ত করবে।

নেতানিয়াহুর মন্তব্যের বিষয়ে করিম খান সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। ইসরায়েল যদি আইসিসির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে তারা চাইলে আদালতের এখতিয়ার নিয়ে নিজেদের আপত্তি তুলে ধরতে পারে, আদালতের বিচারকদের সামনে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। আমি তাদেরকে এমনটি করার পরামর্শ দেব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন