সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী বিসিএস কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ নিয়ম মানা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, পদোন্নতি দেয়ার এখতিয়ার না থাকার পরেও এক সহকারী পরিচালককে সেখানে উপপরিচালকের পদে বসানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাধারণত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রেষণে অথবা সংযুক্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে চারজন উপপরিচালক রয়েছেন। তাদের মধ্যে অর্থ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বিভাগে উপপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ শামীম ইসলাম। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শেখ শামীম ইসলামকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সহকারী পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ২০২২ সালের ৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের তৎকালীন মহাপরিচালক মো. হাকীম আরিফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শেখ শামীম ইসলামকে অর্থ বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয় প্রশিক্ষণ বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে। এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে শেখ শামীম ইসলাম পরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু পরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সেলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ বলেন, ‘ইনস্টিটিউট তো কাউকে পদোন্নতি দিতে পারে না। আমরা তাকে পদোন্নতি দিইওনি। ইনস্টিটিউটের কাজের সুবিধার্থে সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে উপপরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এখন যদি তিনি নিজের পদবির সঙ্গে চলতি দায়িত্বের বিষয়টি উল্লেখ না করেন, তাহলে এটি তার ভুল।’ যদিও ওই চিঠিতে ‘চলতি দায়িত্ব’ উল্লেখ ছিল না।