প্রবৃদ্ধির হটস্পট এখন বাংলাদেশ —শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ এখন প্রবৃদ্ধির হটস্পট হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেছেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভৌগোলিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ টেকসই অনুশীলনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির হটস্পট হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণের ফলে বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ফোর্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সামিট ২০২৪’-এ এসব কথা বলেন তিনি। ডাটা শেয়ারিং কোম্পানি বিগমিন্ট এ সামিটের আয়োজন করে। 

মন্ত্রী বলেন, ‘‌গত এক দশকে বাংলাদেশে গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ১৭২ মিলিয়ন জনসংখ্যার এ দেশে রয়েছে একটি বড় ভোক্তা বাজার ও বিশাল জনসম্পদ। চীন, জাপান, ভারত, কোরিয়ার মতো উন্নত ও বৃহৎ দেশগুলো বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগ করছে। ফলে আমাদের বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিসর ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। প্রধান শিল্প টেক্সটাইল ছাড়াও আমরা অন্য মূল শিল্পগুলোয় বৈচিত্র্যের দিকে নজর দিচ্ছি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘‌দুই দিনের এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সামিট শিল্প খাতের নেতারা, নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীসহ ইস্পাত, সিমেন্ট ও বিদ্যুৎ খাতের মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্র করবে। তাছাড়া এটি এসব সেক্টরে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন, পারস্পরিক নেটওয়ার্ক সৃষ্টি এবং বাজারের প্রবণতা, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করবে। 

তিনি বলেন, ‘‌দেশের অর্থনীতি সম্ভাবনা, গতিশীলতা ও স্থিতিস্থাপকতার সঙ্গে আবদ্ধ। আমরা এখন শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য টেকসই সমাধান গ্রহণের মাধ্যমে একটি ভবিষ্যৎমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সম্মেলনটি এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব আরো বৃদ্ধি করবে।’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিগমিন্টের বাংলাদেশ পার্টনার দিলশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন, বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হোসেন ও বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. সুমন চৌধুরী। 

দুই দিনব্যাপী এ সামিটে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, চীন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, বেলজিয়ামসহ ২৫টি দেশের স্টিল, সিমেন্ট, শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি ও পাওয়ার সেক্টরের প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন