তাইওয়ানে গুগলের দ্বিতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র চালু

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: পকেটনাও

ডিভাইস ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তাইওয়ানে হার্ডওয়্যারের জন্য দ্বিতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র তৈরি করছে গুগল। এটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গুগলের সবচেয়ে বড় হার্ডওয়্যার গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন গুগলের দ্বিতীয় হার্ডওয়্যার গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন। খবর তাইপে নিউজ।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বিশ্বের বৃহত্তম গুগল হার্ডওয়্যার গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র, যা তাইওয়ানের ডিজিটাল রূপান্তরের প্রমাণ দিচ্ছে। একই সঙ্গে এটি তাইওয়ানের গত আট বছরের অর্থনৈতিক নীতির ফসল।’

সাই ইং-ওয়েন আরো বলেন, ‘তাইওয়ানের ফাইভ প্লাস টু উদ্ভাবনী শিল্প নীতি ও ছয়টি মূল কৌশলগত শিল্প উদ্যোগ ও অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলো জাতীয় শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে অবদান রেখেছে। এসব নীতি ও প্রকল্প তাইওয়ানে কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় স্থিতিশীল সরবরাহ চেইন প্রতিষ্ঠা করেছে।’

গুগলের হার্ডওয়্যার বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলমার পেং বলেন, ‘২০২৪ সাল পর্যন্ত তাইওয়ানে আমাদের কর্মী সংখ্যা ২০ গুণ বাড়িয়েছি। দেশটিতে আমাদের দল ক্রমাগত বড় হচ্ছে।’

এলমার পেং গুগলের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা তাইওয়ানে একটি ইকোসিস্টেম তৈরির বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত স্থিতিশীল সরবরাহ চেইন ও প্রতিভাবান কর্মীদের কারণে গুগল তাইওয়ানে তার হার্ডওয়্যার বিকাশ বাড়িয়েছে।’

গুগলের তাইওয়ান দলটি পিক্সেল ফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ, ওয়্যারলেস ইয়ারবাডসের পাশাপাশি ফিটবিট ওয়্যারেবল ডিভাইস ও নেস্ট স্মার্ট হোম ডিভাইস তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। গুগলের হার্ডওয়্যার লাইনআপের আগ্রাসী সম্প্রসারণ মূলত আরো বেশি গ্রাহকদের নিজস্ব ইকোসিস্টেমে আনার কৌশলের অংশ। অন্যদিকে চলতি বছর ১০ কোটির বেশি পিক্সেল ফোন সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে কোম্পানিটি।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, ‘সরকারের স্মার্ট তাইওয়ান নির্মাণের উদ্যোগে অবদান রাখার জন্য গুগলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সহায়তা করেছে গুগল। এটি শিল্পগুলোয় স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। পাশাপাশি তাইওয়ানের ডিজিটাল অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করেছে।’

তিনি জানান, এসবের মাধ্যমে গুগল করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে। এটি গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করেছে। এরই সঙ্গে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সাইবার সিকিউরিটির সঙ্গে ভুয়া খবর ও সাইবার হামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন