বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস

চলতি অর্থবছরে ১ লাখ কোটি রুপির আইফোন রফতানি করবে অ্যাপল

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতে অ্যাপলের একটি ফ্ল্যাগশিপ স্টোর ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

২০২৫ অর্থবছরের শুরুতে ভারতে আইফোন উৎপাদন ও বাজারজাতে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে অ্যাপল। দেশটিতে তৈরি আইফোনের রফতানি এপ্রিলে ১১০ কোটি ডলার (৯ হাজার কোটি রুপি) ছাড়িয়ে গেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টটি ১ লাখ কোটি রুপির আইফোন রফতানি করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। খবর ইটি টেলিকম।

আগের অর্থবছরে ভারত থেকে মোট ৫৮ কোটি ডলার মূল্যের আইফোন রফতানি হয়েছে। মূলত এপ্রিলে বড় কোনো উৎসব বা আয়োজন না থাকায় রফতানি বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা কম থাকে।

আইফোন উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে চীনের পরই ভারতের অবস্থান। বর্তমানে দেশটিতে আইফোন উৎপাদনের হার ১৪-১৫ শতাংশ। প্রযুক্তিবিশারদদের মতে, ২০২৬ সাল নাগাদ তা ২৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। ভারতে উৎপাদিত মোট পণ্যের একটি বড় অংশ রফতানি করে অ্যাপল। সে হিসাবে ২০২৪ অর্থবছরে ভারতে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য উৎপাদন করেছে কুপারটিনোর প্রযুক্তি জায়ান্টটি। এছাড়া মোট রফতানি ১ হাজার কোটি ডলার (৮৫ হাজার কোটি রুপি) ছাড়িয়ে গেছে।

ভারতে অ্যাপলের জন্য তিনটি কোম্পানি চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে। এগুলো হলো ফক্সকন, উইস্ট্রন ও পেগাট্রন। তিনটি কোম্পানিই স্মার্টফোন প্রডাকশন লিংকড ইনসেন্টিভ স্কিমের সুবিধাভোগী।

চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার দিক থেকে তাইওয়ানভিত্তিক ফক্সকন বিশ্বের অন্যতম কোম্পানি। ভারতে উৎপাদিত আইফোনের ৭০ শতাংশই রফতানি করে ফক্সকন। ২৭ শতাংশ পণ্য রফতানির মাধ্যমে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে উইস্ট্রন এবং বাকি পণ্য রফতানি করে পেগাট্রন। উইস্ট্রন বর্তমানে টাটা গ্রুপের মালিকানায়।

এপ্রিলে আইফোন রফতানিতে যে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে, পিএলআই স্কিমের অধীনে ২০২৫ অর্থবছরে অ্যাপল প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সরকারসংশ্লিষ্টরা। 

২০২১ অর্থবছরের তথ্যানুযায়ী, সে সময় আইফোনের বার্ষিক উৎপাদন ছিল ৩ হাজার কোটি রুপির কাছাকাছি এবং রফতানিও নিম্নমুখী ছিল। ২০২২ অর্থবছরে উৎপাদন ১৬ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়ে যায় এবং পিএলআই স্কিমের অধীনে রফতানি ১০ হাজার কোটি রুপি স্পর্শ করে।

ভারতে উৎপাদিত আইফোনের বেশির ভাগই রফতানি করা হয়। তবে অ্যাপলের জন্য অভ্যন্তরীণ বাজারও দ্রুত বাড়ছে। বার্ষিক হিসাবে এর পরিমাণ ৩৮ শতাংশের বেশি। স্থানীয় পর্যায়ের উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে অ্যাপল দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশটিতে দুই অংকের বাজার হিস্যায় প্রবেশ করতে চাইছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিদরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন