রেকর্ড ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন যুক্তরাজ্যে রেলযাত্রীরা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে রেল বিলম্বিত হওয়ায় যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ বাবদ এক বছরে ক্ষতিপূরণ ১০ কোটি পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে বিলম্বিত বা বাতিল যাত্রার জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরে যাত্রীরা প্রায় ১০ কোটি ১৩ লাখ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, যা ২০২১-২২ সালের ৩ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডের তুলনায় ১৫৫ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাজ্যের রেল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, ২০২৩-২৪ সালে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। কেননা জানুয়ারি পর্যন্ত সব রেল পরিষেবায় ক্ষতিপূরণের দাবি ছিল ৪৬ লাখ। এটি আগের বছরের মোট ক্ষতিপূরণের দাবিকে ছাড়িয়ে গেছে।

কভিডের পর দেশটির রেলে যাত্রী ৪০ শতাংশ বাড়লেও তার চেয়ে বেশি বেড়েছে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ। যুক্তরাজ্যে এক বছরে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার রেল শিডিউল পুরোপুরি বা আংশিক বাতিল হয়েছিল। কারণ হিসেবে ধর্মঘট, কর্মী ঘাটতি, ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো ও যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলছে সংস্থাগুলো।

বর্তমানে চুক্তির অধীনে করদাতাদের দেয়া অর্থ থেকে ক্ষতিপূরণ তহবিল আসে। এরই সঙ্গে অপারেটরদের একটি ফি দিয়ে থাকে সরকার। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের রেলওয়ের আয় ঘাটতিও পূরণ হয়।

ক্ষতিপূরণের অর্থ শুধু শিডিউল রেলের বিলম্বের জন্য দেয়া হয়। কিন্তু কোনো যাত্রা সম্পূর্ণভাবে বাতিল বা সময়সূচি রদবদল হলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় না। তবে নীতিটি বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচিত হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ সমাধানে ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তথ্যানুযায়ী, ২০ দিনের মধ্যে ৯৯ শতাংশেরও বেশি ক্ষতিপূরণের দাবি সমাধান করেছে।

যুক্তরাজ্যের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল লেবার পার্টি অভিযোগ করেছে, যেসব অপারেটরের বিরুদ্ধে যাত্রা বাতিলের অভিযোগ বেশি সরকার উল্টো পুরস্কৃত করছে। ক্রসকান্ট্রি ও আভান্তির মতো প্রতিষ্ঠানকে গত বছরে শেয়ারের লভ্যাংশ দেয়ার পাশাপাশি চুক্তির মেয়াদও বাড়িয়েছে প্যারেন্ট কোম্পানিগুলো।

এদিকে রেল অপারেটরদের প্রতিনিধিত্বকারী রেল ডেলিভারি গ্রুপ জানিয়েছে, বিড়ম্বনার জন্য গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে আস্থা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন