‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ প্রোগ্রামে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেছেন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: আইসিটি বিভাগ

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ প্রোগ্রামে ওরাকলের গ্লোবাল চিফ ইনফরমেশন অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ইভান্সের সঙ্গে তিনি ‘ইউজিং এআই টু বিল্ড অ্যান ইনটেলিজেন্ট ক্লাউড’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেন। 

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যের পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যার লক্ষ্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি, এ চারটি পিলারের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সাল নাগাদ অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদ্ভাবনী, টেকসই ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট জাতিতে রূপান্তর করা। আমাদের বিভিন্ন নীতি রয়েছে, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে অংশীদারত্ব রয়েছে। ইন্ড্রাস্ট্রি, সরকার এবং একাডেমিয়ার সমন্বয়ে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে। 

তিনি বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ৫২ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইট চালুর মাধ্যমে ২ হাজার ৫০০টি পরিষেবা ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। আইটি/আইটিইএস খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং ২ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হচ্ছে। আগামীতে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহনসহ সব খাতকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের এ যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে এআই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করেছি এবং এখন একই সঙ্গে কিছু ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ভিত্তিক সরকারি পরিষেবা চালু হচ্ছে। কীভাবে আমরা আমাদের কৌশলগুলো তৈরি করে এবং নতুন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে শিল্পের বেসরকারি খাতের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারি সে পথ অনুসরণ করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সংবিধান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনিয়োগের ওপর চারটি জেনারেটেড প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার জিপিটি পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সব জিপিটি টুল ওরাকল দ্বারা সমর্থিত। আমাদের সরকারি ক্লাউড হোস্ট করতে চলেছে, একই সঙ্গে আমরা ওরাকল একাডেমি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কম্পিউটিং প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অংশীদারত্ব করছি।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের কাছ থেকে ধারণাগুলো ক্যাপচার করে তাদের স্বপ্ন পূরণে হ্যাকাথনের আয়োজন করেছি। ফলে বেসরকারি উদ্যোক্তারা সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে। এভাবে বেসরকারি খাত ও বহুজাতিক নেতাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে এসব সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা বিকশিত করেছি, আমাদের সব সরকারি পরিষেবা ক্লাউড ফার্স্ট অ্যাপ্রোচের ভিত্তিতে তৈরি করেছি। ডিজিটাল সরকারি পরিষেবা প্রদানে ওরাকলের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ক্লাউড, যা আমরা ওরাকলের সঙ্গে অংশীদারত্বে চালু করেছি। আমাদের পরিষেবা নির্বিঘ্নে প্রদান এবং নিরাপত্তাসহ ক্লাউড স্টোরেজ, প্রসেসিং সুবিধা এবং এসব এআই ফিউশন সুবিধায় ওরাকলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন