সড়কপথের পাশাপাশি ঈদে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে নৌপথেও। গত কয়েক
দিন ধরেই ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটছে একের পর এক লঞ্চ।
নৌপথের পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের কাছে ঈদ উদযাপনের
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কর্মজীবনে প্রবেশের পর নিজের ঈদের চেয়ে মানুষ যেন সুন্দরভাবে
ঈদ উদযাপন করতে পারে সে বিষয়টি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারো আমাদের কর্মকর্তারা
ঢাকা, চাঁদপুর, আরিচা, বরিশালসহ সংশ্লিষ্ট ঘাটে নিরাপদ নৌযাত্রা নিশ্চিতে ব্যস্ত সময়
পার করছেন।’
এবারের ঈদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সচিব বলেন,
‘কাল জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়ব। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে তার বাসায় যাব। ঢাকায়
ঈদ উদযাপন করে গ্রামে যাব।’
গ্রামের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি
বলেন, ‘অবসরের পর তো গ্রামেই থাকতে হবে। গ্রামেই আমাদের শেকড়। আমি প্রতি মাসে একবার
গ্রামের বাড়ি যাই। গ্রামের মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে।’
ছেলেবেলার ঈদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন বাবা-মাকে খুব
মিস করি। বাবার হাত ধরে ঈদের মাঠে যাওয়া, সালামি পাওয়া, হই-হুল্লোড়—এসব
এখনো কানে বাজে। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আমার বেড়ে উঠা। সেখানে বিশাল বড় ঈদের জামাত
হতো। ২২ গ্রামের মানুষ এক ময়দানে নামাজ পড়তে আসত। এখন এত বড় জামাত আর দেখি না।’
ঈদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘ছেলেবেলার ঈদের বিশেষ আকর্ষণ
ছিল সালামি। সালামি পেলে সে কী আনন্দ। অপেক্ষায় থাকতাম সালামির জন্য। কাঙ্ক্ষিত সালামি
না পেলে আবার মন খারাপ হতো। সেসব স্মৃতি এখনো মনে মধুর অনুভূতি দেয়।’