‘ঢাকার ঈদ এখন অনেক বেশি ভোগবাদী উৎসবে পরিণত হয়েছে’

আল ফাতাহ মামুন

ছবি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

নানা বিবর্তনে আজকের এই জনাকীর্ণ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে ঢাকা। বিশ্বের জনবহুল এই নগরী দুই দশক আগেও ছিল অনেক সুন্দর-স্বাস্থ্যকর। কর্মের তাগিদে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে জড়ো হয় এই নগরীতে। তবে ঈদ এলেই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে যায় মানুষ। তখন ঢাকার দৃশ্যপটে আসে ভিন্ন চিত্র। রাস্তাঘাট ফাঁকা। গাড়িঘোড়া একেবারেই কম।

ঢাকার ঈদ নিয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ধানমন্ডির বাসিন্দা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ঢাকার ঈদ এখন অনেক বেশি ভোগবাদী এবং বিলাসিতার উৎসবে পরিণত হয়েছে। আগে আমরা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যেতাম। সামাজিক সম্প্রীতির দিকে মনোযোগ দিতাম। কিন্তু এখন অনেকেই ঈদের সময় কক্সবাজার বা বিদেশে ঘুরতে চলে যান। ঢাকার ঈদের এই পরিবর্তন ভালো মন্দ সেটা বলব না, তবে ঈদকে ভোগের উৎসবে পরিণত করা উচিত বলে মনে করি না।

ঢাকার ঈদের বিবর্তন নিয়ে সৈয়দা রিজওয়াসা হাসান বলেন, ‘আগে আমরা গজ কাপড় কিনে জামা বানাতাম। এখনো আমরা মার্কেটে গিয়ে কাপড় কিনি। একটা প্রথাই হয়ে গিয়েছিল ঈদের পাঞ্জাবিটা আড়ংয়ে গিয়ে কিনব। এখনো আমরা মার্কেটে গিয়েই কাপড় কিনি। কিন্তু আমার ছেলেরা এবার সব অনলাইন থেকে কিনেছে। এখনকার আনন্দ অনেকটা ভোগবাদ বলতে পারেন। আগের আনন্দে পিউরিটি ছিল। এখন পিউরিটি নেই সেটা বলব না, তবে লোক দেখানো বিষয়টা অনেক বেড়েছে।’

ঢাকার ঈদ অনেক বেশি আড়ম্বরপূর্ণ হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আগে আমরা বাসায় অনেক কিছু রান্না করতাম। কিন্তু এখন দেখি অনেক বাসাতেই অনলাইনে খাবার অর্ডার করা হচ্ছে। আগে নিয়ম করে ঈদে একজন আরেকজনের বাসায় যেতাম। এখন এ জিনিসটা মিস করি।

আপনার ঈদ কেমন কাটবে জানতে চাইলে এই পরিবেশবিদ বলেন, ‘বরাবরের মতই পরিবারকে সময় দেব। ঈদে আমার স্বামী কিছু মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরি করেন। আমি তাকে হেল্প করব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন